খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থী শনাক্তকরণে সংকেত ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ কর্তৃপক্ষের প্রণীত উত্তরপত্রে এমন ভুলে পরীক্ষার্থীরা বিভ্রান্তিতে পড়লে তার আড়ালে সাংবাদিকসহ পর্যবেক্ষকদের কেন্দ্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
৮ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হওয়া শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এসব ভুল ত্রুটির অভিযোগ উঠে। তবে এসব ভুলে উত্তরপত্র মূল্যয়নে কোন সমস্যা হবে না বলছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় শিক্ষা বিভাগ। তবে সাংবাদিক সহ অন্যান্য পর্যাবেক্ষকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি কেউ। এত অভিযোগ উঠলেও এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে নুকুল চাকমা নামে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করা ৬০ নম্বরের নৈবিত্তিক উত্তর পত্রের উপরে পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নং ও উপজেলার নাম লেখা ছিল। নির্দেশিত অংশে আমরা তা পূরণ করি। কিছুক্ষণ পরে শিক্ষকরা এসে বিষয়টি দেখতে পেয়ে উত্তর পত্র জব্দ করেন। পরে অন্যান্যরা তাদের উত্তরপত্রে একই রকম নির্দেশনা রয়েছে দাবি করলে শিক্ষকরা তা মুছে দিতে বলেন এবং আমার উত্তরপত্র ফেরত দেন।
একই কেন্দ্রের আরেক পরীক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, বিগত সময়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল। আজকের পরীক্ষায় উত্তরপত্রে এমন কাটাছিঁড়া দেখে শঙ্কিত সঠিক মূল্যয়ন হয় কিনা। এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী কেন্দ্র সচিব পাশেশ্বর পাল বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পাঠিয়েছেন। তাদের প্রতিনিধি ছিলেন। উত্তরপত্রে নাম, রোল ও উপজেলার নাম লেখার অংশ দেখে সাথে সাথে তা মুছে দেয়া হয়। এ বিষয়ে টিউফা আইডিয়াল স্কুলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রে কাউকে প্রবেশ করতে না দিতে পার্বত্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। আপনারা চাইলে পার্বত্য জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে পারেন। অভিযোগের বিষয়ে খাগড়াছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াছমিন জানান, উত্তরপত্রে ভুল ছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। এটি বড় কিছু না। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ন্যস্ত শিক্ষা বিভাগে ২৫৮ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৪ হাজার ১ শ ৬০ জন প্রার্থী।