গাজীপুরের টঙ্গী ৫৭নং ওয়ার্ড আশরাফ সেতু মার্কেটের পাশে আশরাফ টেক্সটাইল মিলস উচ্চবিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে (ইনবিরো সিএনজি ফিলিং স্টেশন) জ্বালানি তেলের পাম্প। এতে করে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে পরিচালনা পর্যদ কমিটি বিদ্যালয়ের ওয়াল ঘেঁষে জ্বালানি তেলের পাম্প বসিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির এমন কর্মকাণ্ডে হতাশ সংশ্লিষ্ট মহল।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, আশরাফ সেতু মার্কেটের দক্ষিণ পাশে আশরাফ টেক্সটাইল মিলস উচ্চবিদ্যালয়টি অবস্থিত। এমপিওভুক্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে এমনকি বিদ্যালয়ের ওয়াল ঘেঁষে জ্বালানি তেলের পাম্প থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা
দিয়েছে। যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বিদ্যালয়ের ওয়াল ঘেঁষে এত বড় জ্বালানি তেলের পাম্প স্টেশন থাকায় আতঙ্কতো থাকবেই। এখানে প্রায় ১২’শ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। স্কুল কমিটির কমিটির লোকজন জ্বালানি তেলের পাম্প বসিয়ে ভাড়া হিসেবে লাখ লাখ আদায় করে নিজেরাই পকেটভারি করছে। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক হস্তক্ষেপ জরুরী। এ বিষয়ে ওই স্কুলের এক শিক্ষক অধীর বাবু বলেন, এটা স্কুল কমিটি ও প্রশাসনের বিষয়।
আমাদের কি করার আছে। আপনি একটু প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। এমপিওভুক্ত ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, এই পাম্প থেকে এক লাখ নয় হাজার টাকা ভাড়া পাই,ওই টাকা দিয়ে শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেই। তবে এখান থেকে তেলের পাম্প সরিয়ে দেয়া হবে, এ বিষয়ে কথাবার্তা চলছে।
এব্যাপারে টঙ্গী পাইলট স্কুল এ- গালর্স কলেজের অধ্যক্ষ মো: আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, তেলের পাম্পে তেল কিংবা গ্যাস নিতে অনেক ধরনের গাড়ি আসে, যদি কোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে তাইলে স্কুলেরও ক্ষতি হতে পারে। আর স্কুরের জায়গায় পাম্প বসাতে চাইলে পরিবেশ ছাড়পত্র লাগবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেঁষে এসব না থাকাই উত্তম।
গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেঁষে জ্বালানি তেলের পাম্প রয়েছে এটা আমার জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।