দির্ঘ দুই বছর পর লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর পুলিশ অভিবাসন চৌকি (ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট) দিয়ে ভ্রমণসহ সকল ভিসাধারীদের যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
বহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় বুড়িমারী স্থলবন্দর অভিবাসন পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার সাড়ে ১২টা থেকে আজ বহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত উভয় দেশের মোট ৪০ জন পাসপোর্ট যাত্রী বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোষ্ট ব্যবহার করেন।
এসআই আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, পুলিশ অভিবাসন চৌকি দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই দেশের যাত্রী পাড়াপাড় করতে পারবেন।
বুড়িমারী অভিবাসন পুলিশ সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর এ স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ ভিসায় যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ভারতের ওপারের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর অভিবাসন পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) সমীর শামাং জানান, এই পথে ২০২২ সাল যেসব ভিসাধারীরা অনুমাদন পাবে ও ওই ভিসায় চ্যাংরাবান্ধা পথে যাদের উল্লেখ থাকবে, তাঁরা এ পথ ব্যবহার করে ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন। একই ভাবে ভারতীয় ভিসাধারীরাও এ পথ যাতায়াত করতে পাবেন বলে তিনি জানান। প্রথম দিন বিকল পাঁচটা পর্যন্ত উভয়দেশের ২৫ জন যাত্রী পারাপার হয়েছেন এরমধ্যে ভারতের দশ জন ছিল।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দুই বছর ভ্রমণ ভিসাধারীদের এই পুলিশ অভিবাসন চৌকি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রামের পাসপার্ট যাত্রীদের ভারতে প্রবশের জন্য কষ্ট করে ছিল। এদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে এই অভিবাসন চৌকি খুলে দেয়ার খবর পেয়ে স্বস্তি মিলেছে ভ্রমন ও ভারতে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের।
পাটগ্রাম পৌর এলাকার আলমগীর হাসন জানান, চেকপাস্ট বন্ধ থাকায় ভারতে চিকিৎসা নিতে পারছিলাম না। দীর্ঘদিন ধরে রোগ ভুগছি। চেকপোস্ট খুলে দেয়ায় ভারতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবো।
তাছাড়া বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী রাশেদ হাসন বলেন, এ অভিবাসন চৌকি দিয়ে সকল ভিসাধারীদের যাতায়াতের পথ খুলে দেয়ায় এ স্থলবন্দরটির প্রাণচঞ্চলতা ফিরে পেয়েছে। কেননা এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন উভয়দেশের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ চলাচল করেন।
এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরের অভিবাসন পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে এ স্থলবন্দর শুন্যরেখায় আÍর্জাতিক নিরাপত্তা চৌকি (আইসিপি) দিয়ে ওপারের ভারতীয় চাংরাবান্ধা ভারতীয় অভিবাসন পুলিশের ভ্রমণ ভিসাধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।