নেত্রকোণার কলমাকান্দায় খাসভূমি বেদখল কেন্দ্র করে হামলা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে উভয়পক্ষে নারীসহ ১১জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে তারাবিহী নামাজের আগে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নলছাপ্রা বাজারের এ হামলা ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, একপক্ষ দীন ইসলাম (৩০) ও রোমেলা খাতুন (৫০), আমিনুল ইসলাম (১৮), সাইনুল মিয়া (২২), এমদাদুল হক (২৫), রেজিয়া খাতুন (৩৫), খায়রুল ইসলাম (১৯), সিরাজুল ইসলাম (৪০), লাল মিয়া (৫৫) ও অপরপক্ষ রুবেল মিয়া (২৫) এবং রাসেল মিয়া (২৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নলছাপ্রা মৌজায় খাসভূমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে দুলাল মিয়া ও লাল মিয়া দুই পরিবারের মধ্যে। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার সামজিক ভাবে শালিস হয়েছিল। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। পরে প্রথমে আদালতের শরণাপন্ন হন লাল মিয়া। এরপর থেকে একাধিক অভিযোগে পাল্টাপাল্টি হামলা ও মামলা হয়েছে। মামলাগুলো এখনও চলমান রয়েছে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে উভয়পক্ষে লোকজন আহত হয়। এতে করে রুবেল মিয়া ও রাসেল মিয়া এবং আমিনুল ইসলাম ও দীন ইসলামসহ উভয়পক্ষে নারীসহ ১১জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আহত এগারজনের মধ্যে দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেন ও বাকি নয় জনকে হাসপাতালে ভর্তি দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শরিফুল ইসলাম। শুক্রবার সকালে আহতের মধ্যে চারজন দীন ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, রোমেলা খাতুন ও রেজিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শরিফুল ইসলাম। এ বিষয়ে লাল মিয়া হামলা কথা অস্বীকার করে বলেন, তার দুই ছেলে বৃহস্পতিবার তারাবিহী নামাজের আগে নলছাপ্রা বাজারের খালেকের চা দোকানে আমিনুল ইসলাম ও দীন ইসলাম চা পান করার জন্য বসাছিল। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় দুলাল মিয়ার পরিবারের লোকজন। এতে ওই সময় গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হন আমিনুল ইসলাম ও দীন ইসলাম। এখবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই আমিও পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে রুবেল মিয়া হামলা কথা অস্বীকার করে বলেন, বৃহস্পতিবার আমার বাবার ইফতার দোকান থেকে সন্ধ্যার পর আমি নলছাপ্রা বাজারে মহাজনের পাওনা টাকা দিতে যাই। ঠিক সেই মুহূর্তে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্তকিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে আমার ওপর হামলা করে লাল মিয়াসহ ৮/১০ জন পরিবারের লোকজন। এতে আমিসহ আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা রাশেল মিয়াও গুরুতর আহত হন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।