ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন ভিটেবাড়ি উঠানের সীমানা বিরোধ ও মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের ধস্তাধস্তি একপর্যায়ে ভাবির লাঠি আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত দেবর সাইফুল ইসলাম (৪০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া পথে মারা যান। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রৌহা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার বাদী হয়ে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাগলা থানাধীন টাংগাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ওরফে সূর্যের বড় ছেলে বুলবুল ও ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম গত শুক্রবার বিকেলে ভিটেবাড়ির উঠানে সীমানায় মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় বুলবুলের স্ত্রী পলি আক্তার লাঠি দিয়ে দেবর সাইফুলকে এলোপাতারি পিটাতে থাকে। এতে দেবর সাইফুল গুরুতর আহত হন। পরে স্বজনরা আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে নিয়ে যায়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থায় অবনতি হলে শুক্রবার রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে সে মারা যায়। নিহতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার বাদী হয়ে ভাসুর বুলবুল ও তার স্ত্রী পলি আক্তারকে আসামি করে শনিবার সকালে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার বলেন, ভিটেবাড়ি উঠানের সীমানা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে ভাসুর বুলবুলের সঙ্গে তার স্বামী সাইফুলের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ওরা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যাকারীদের বিচার চাই।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঁঠানো হয়। আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।