শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালটিতে দীর্ঘদিনের চিকিৎসক সংটক কাটিয়ে উঠতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আটজন চিকিৎসককে নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষ চিকিৎসক যোগদান করেন। কিন্তু যোগদানের পর পরই দুইজন চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সংযুক্ত (অ্যাটাচমেন্ট) হয়েছেন। অপর দুই চিকিৎসক মাতৃত্বকালিন ছুটিতে গেছেন। ফলে আবারো চিকিৎসক সংকটে পড়েছে শরণখোলা হাসপাতালটি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, চার জন নারী চিকিৎসকের মধ্য থেকে ডা. ইসরাত জাহান যোগদানের পর পরই বাগেরহাট সদর হাসপাতালে এবং ডা. তাহসিনা হক প্রমি এক সপ্তাহ আগে খুলনা মেডিক্যালে সংযুক্ত হয়েছেন। অপর দুই জনের মধ্যে ডা. শাহানা এবং ডা. কেয়া মনি রয়েছেন মাতৃত্বকালিন ছুটিতে। হাসপাতালটিতে ২৬ জন চিকিৎসকের মধ্যে এখন মাত্র ছয়জন কর্মরত রয়েছেন। রোগীর চাপ বেশী থাকায় ছয় চিকিৎসকের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়সাল আহমেদ জানান, সরকারি নিয়মে চাকরিতে যোগদানের পর কমপক্ষে দুই বছর নতুন চিকিৎসকদের গ্রামে থাকার বিধান রয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ম অনেকেই মানছেন না। যে দুই জন অন্যত্র সংযুক্ত হয়েছেন, খাতাপত্রে ঠিকই তারা শরণখোলায় পোষ্টিং রয়েছেন। বেতনও তুলবেন এখান থেকে। অথচ একটু ভালো সুযোগসুবিধা ভোগ করার আশায় উপর মহলে তদবির করে চলে গেছেন তারা। এ কারণে ডেলিভারী বা অন্যান্য নারী রোগিদের সেবা দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পিরকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, একঝাঁক তরুণ চিকিৎসক নিয়ে নতুন করে দীর্ঘদিনের সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছিলাম। প্রায় ছয় বছর ধরে বন্ধ থাকা অপারেশন থিয়েটারটিও স্বচল করা হয়েছে। এরইমধ্যে এক সাথে চার জন নারী চিকিৎসক চলে যাওয়ায় আবার সেই সংকটে পড়েছি। প্রতিদিন শত শত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।