নীলফামারীর হযরত মহিউদ্দিন চিশতি (রাঃ) কুন্দপুকুর মাজারের কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির অভিযোগ উঠেছে। একই রাতে ১৫ কবর থেকে কঙ্কাল চুরির সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা। তবে একটি কবরের উপর থেকে মৃত ব্যক্তির দাড়ি ও হাড় দেখতে পায় তারা।
গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী। ঘটনার বিষয়টি পুলিশকে জানালে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। এ ব্যাপরে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের হযরত মহিউদ্দিন চিশতি (রাঃ) এর মাজারটি ঘিরে রয়েছে বিশাল পুকুর। পুকুরটির চারদিকে রয়েছে কবরস্থান। কুন্দপুকুর ইউনিয়নের সরকার পাড়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই বছর আগে আমার বাবা আবদুর রশিদ মারা যান। সকালে কবরস্থানের একটি কবর খোড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। একটু ভিতরে গিয়ে দেখি কবর খোড়া ও কবরের বাঁশের বেড়া ঘেরাগুলো ভেঙ্গে নিচে পড়ে আছে। এমনি ভাবে আমার বাবার কবরটিও খোড়ার দৃশ্য পাই। পরে স্থানীয়দের জানানো হলে অন্তত ১৫ কবর খোড়ার দৃশ্য দেখতে পান সবাই।
গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, আমার শ্বশুর দেড় বছর আগে মারা যান। খবর পেয়ে এসে দেখি কবরের মাঝ বরাবর খোড়ার দৃশ্য। সেখানে কঙ্কাল ছিলো না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আনোয়ারুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি জানান, একসাথে আমার পরিবারের পাঁচ জনের কবর ছিলো। এখান থেকে দুইজনের কবর খুড়ে কঙ্কাল নিয়ে যাওয়া হয়। আমার বাবা ও ফুফুর কবর খোড়া হয়েছিলো।
সোহরাব হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বাবা আজাহার আলী ও বোন জিন্নাহ খাতুন দুই বছরের মধ্যে মারা গেছেন। এখানে দাফন করা হয়। সকালে কবর দুটি খোড়া দেখতে পাই।
কুন্দপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধারনা করা হচ্ছে একটি দৃস্কৃতিকারী মহল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যেসব কবর খোড়া হয়েছে সেগুলোর প্রতিটির বুক বরাবর খোড়া হয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুন্দপুকর মাজার কমিটির সভাপতি শাহিদ মাহমুদ। তিনি বলেন, কবর খুড়ে আবার তারা মাটি ঢেকে দিয়ে গেছে। কয়েকটি খোলা ছিলো। খোলার কারণে বিষয়টি জানা যায়।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুর রউপ বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।