নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। দুর্গাপুরের ১নং বালু মহালের ইজারাদার ধনেশ পত্রনবীশ নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ ও ৯টি দপ্তরে এর অনুলিপি দিয়েছেন।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইজারাদার ধনেশ পত্রনবীশ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনে ১৪২৯ বাংলা সনের জন্য দুর্গাপুরের সোমেশ^রী নদীর ১নং বালু মহালের ইজারা নেনতিনি। কার্যাদেশ পাওয়ার পর বালু উত্তোলন শুরুর কিছুদিনের ইজারাকৃত মহালের দেবথৈল এলাকায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান তার লোকজন অস্ত্রের মহড়া দিয়ে প্রতি বালুভর্তি ট্রাক থেকে ৩শত টাকা চাঁদা আদায় শুরু করেন। ইজারাদারের লোকজন চাঁদা আদায় বন্ধের জন্য বললে তাদেরকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইজারাদার ধনেশ পত্রনবীশ জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিস্ট দপ্তর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
চাঁদা আদায় নিয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সোমেশ^রী নদীর ১নং বালু মহালে ৮/৯টি ডাইভারশন আছে। ডাইভারশন করতে অনেক টাকা খরচ হয়। এজন্য প্রতিটি ট্রাক থেকে ৩শত টাকা করে খরচ নেওয়া হচ্ছে এটি অস্বীকার করার কিছুই নয়। বিষয়টি চাঁদাবাজীর উল্লেখ করে অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে এটি খুবই আপত্তিকর এবং দুঃখজনক। বালু মহালের ডাইভারশন ঠিক না থাকলে ট্রাক দিয়ে বালু বহন করবে কিভাবে। ট্রাক থেকে ডাইভারশন খরচ নেয়াতো অনেক আগ থেকেই চলে আসছে, এটিকে চাঁদা উল্লেখ করা হল কেন ?
এ নিয়ে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান এ প্রতিনিধি’কে বলেন,অভিযোগ পাওয়া গেছে,বিষয়টি পুলিশ সুপার’কে দেখার জন্য বলা হয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন এর কপি পেয়েছি, তবে ঊর্ধ্বতন সারদের নির্দেশ মতে ব্যবস্থা দেয়া হবে।