কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুখিপুর গ্রামে স্বামী আবু বক্কার তার স্ত্রী জরিনা খাতুন (৪০) কে পিটিয়ে হত্যা করে ঘরে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পিতিবার বিকেলে এলাকাবাসী ও গৃহবধুর পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে আবু বক্কার তার স্ত্রী জরিনা খাতুন কে যৌতুকের মৃত্যুর কোল ঢলে পড়লে জরিনাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনার পর এলকার পাশ্ববর্তি দৌলতপুর ইউপি সদস্য নাসিরুল ইসলাম গৃহ বুধুর জরিনার হত্যার অভিযোগে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্ট করে এবং পুলিশ যাওয়া আগেই ঘর থেকে জরিনার লাশ বের করে। পরে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে যেয়ে গৃহবধু জরিনার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করে। গৃহবধু জরিনার ৪ সন্তানের জননী সে একই এলাকার পাশ্ববর্তি গ্রাম বিশ্বাস পাড়ার আইউব বিশ্বাসের কন্যা। তার স্বজনদের দাবী যৌতুকের দাবীতে জরিনাকে তার স্বামী আবু বক্কার কুদো প্রায় দিনই মারপিট করে আসছিল সে গুন্ড ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। গৃহবধু জরিনার স্বজনেরা তাকে পিটিয়ে, স্বাশ রোধ হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে করে। জরিনা হত্যার বিচার দাবী করে স্বামী আবু বক্কার কুদোর শাস্তিদাবী করেছে। এর স্বজনেরা আর ও অভিযোগ করেছে ইউপি সদস্য নাসিরুল সন্ত্রাসী বককার কুদোর বিভিন্ন অপকর্মে সাহস যগিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি এস,এম, জাবিদ হাসান জানান গৃহবধু জরিনার লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে জরিনার স্বজনেরা থানায় মামলা দায়েরের কথা জানিয়েছে।