শক্তিশালী শরীর বা সুঠাম দেহ থাকলে রোগ সংক্রমণ বা আঘাতের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এজন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা উচিত।
প্রোটিন ও ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খান
সাধারণভাবে একজন পুরুষের দৈনিক কমপক্ষে ৬০ গ্রাম এবং নারীদের প্রতিদিন ৫৫ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। দৈহিক ক্ষয়পূরণে প্রোটিন ও ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার দরকার।
হাড় মজবুত রাখতে এবং জয়েন্টের ক্ষয় প্রতিরোধে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্য তালিকায়। পেশি গঠন ও টিস্যুর জন্যও এসব খাবার গুরুত্বপূর্ণ।
এ জন্য নিয়মিত খান ডিম, পনির, দুধ, মাছ, টমেটো, লেবু, শিমের বিচি, দই, কলা, বাদাম ও ডালজাতীয় খাবার।
সঠিক ওজন বজায় রাখুন
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় থাকলে দেহের জয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না। এজন্য বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কি না তা আগে জানুন।
প্রতিদিন ব্যায়াম করুন
প্রতিদিন অন্তত আধাঘণ্টা ব্যায়াম করুন। ঘরে বসে হালকা জগিং, সিট আপস, ইয়োগার মতো ব্যায়ামগুলো করতে পারেন।
নিয়মিত দ্রুত হাঁটুন
প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে পেশি গঠন হয়। পাশাপাশি হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে একটু দ্রুত পায়ে হাঁটা ভালো। মিনিটে এক শ কদম হাঁটাকে বলে ব্রিস্ক ওয়াকিং। পাশাপাশি দৌড়াতে বা জগিং করতে পারেন।
যা করবেন না
♦ ভুল ভঙ্গিতে দাঁড়ানো বা বসে কোনো কাজ করবেন না।
♦ অলস সময় কাটাবেন না, সব সময় সচল থাকার চেষ্টা করুন।
♦ চিনি, ভাত, আলু, মধু, রুটি বেশি খাবেন না।
♦ না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না।
♦ সফট ড্রিংকস, চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
পরামর্শ দিয়েছেনÑ অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান, ল্যাবএইড হাসপাতাল, ঢাকা