কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানা এলাকায় শনিবার (২৩-৪-২০২২ইং) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে উজানগ্রামের মৃত জোয়াদ (জল্লাদ) এর ছেলে চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী সিরাজুলের বাড়িতে, এস আই জাহাঙ্গীর পরিচালনায় সোর্গীয় ফোর্সদের সাথে পুলিশ অভিযান চালায়।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী সিরাজুল কাছে থাকা মাদক মাঠের মধ্যে ছুড়ে লুঙ্গী ফেলে ধানের মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায় সে। সিরাজুল মাদক ব্যবসার স্থানগুলের মধ্যে ভ্রম্যমান সড়ক, উজানগ্রাম জিকে ক্যনেলের পরিত্যাক্ত ভবন ও বক্স-ব্রিজ এলাকা। এই স্থানে উঠতে বয়সী ছেলেদের সন্ধ্যা হলেই আনা-গোনা। নিঝুম এলাকা থাকায় মাদক ব্যবসা ছিল নিরাপদ। মাদক মামলায় জেল থেকে বেড় হয়ে মাদক ব্যবসায় আবারও বেপোরয়া ছিল সিরাজুল। মাদ্রাসা লাইনে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করলেও আয় রোজগার করার পথ ছিল মাদক। সেই সময় বাবার আয়ের একমাত্র পথ ছিল দিন মজুর, অভাব অনটন সংসারে গড়ে উঠা সিরাজুল আজ দালার কোঠার মালিক।
ঘটনার দিন গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে পাশের গ্রাম গজনবীপুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রুবিনা খাতুনের চায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে গাজা সহ ৪ জনকে আটক করে ইবি থানা পুলিশ।আটককৃতরা হলেন, গজনবীপুর গ্রামের নূর হক,ও তার স্ত্রী রুবিনা খাতুন এবং
ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমান ও লাল মিয়া, গাজা ক্রয়ের সময় হাতেনাতে তাদেরকে আটক করা হহয়। ইবি থানার চৌকস পুলিশ অফিসার এস আই জাহাঙ্গীর আলমের নেত্রীতে এই অভিযান চলে।
আটকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।যার মামলা নং ২২।
এস আই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইবি থানা এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেঞ্চ থাকবে।এমন প্রতিশ্রতি নিয়ে আমরা কাজে নেমেছি।তবে আমাদের অভিযান নিয়মিত চলতে থাকবে বলে তিনি জানান।