রাজশাহীর তানোরে ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গুলো গভীর রাত পর্যন্ত হলেও নেতাকর্মীতে ভরে থাকছে সম্মেলন স্থল। কোনদিন রাত ৯টা তো কোনদিন ১০টা পর্যন্ত চলছে সম্মেলনের কার্যক্রম। ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় অধিবেশন। নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতাও চলছে জোরালো ভাবে।
ওয়ার্ড পর্যায়ে যুবকরা পদ-পদবি পেতে নানান ভাবে আসছে সম্মেলনে। একটানা চলছে সম্মেলন। এরআগে রমজান মাসের শুরু থেকে সম্মেলন পূর্বক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে করে যুবলীগ ব্যাপক চাঙ্গা উঠে। তেমনি ভাবে দীর্ঘ সময় পর সম্মেলন হওয়ার কারণে তৃনমূলে ফিরে এসেছে উৎসাহ উদ্দীপনা। গভীর রাত হলেও মনোযোগ সহকারে শুনছেন অথিতিদের দিক নির্দেশনা মুলুক বক্তব্য। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হচ্ছে সম্মেলন।
জানা গেছে, রমজান মাসের প্রথম থেকেই রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ফারুক চৌধুরীর দিক নির্দেশনা এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবলীগকে শক্তিশালী করতে ও তরুনদের নেতৃত্বে আনতে শুরু হয় সম্মেলন পুর্বক বর্ধিত সভা। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বর্ধিত সভা শেষ করে গত ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলন। তবে, রোজার জন্য ইউনিয়নের পাঁচটি করে ওয়ার্ডের সম্মেলন করা হচ্ছে। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে। চলে ইফতারের আগ মুহুর্ত। এতে শোন যায় উপজেলা যুবলীগ নেতাদের দিক নির্দেশনা মূলুক বক্তব্য।
ইফতার নামাজ পর শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় অধিবেশন। প্রথমে ওয়ার্ড যুবলীগের আগ্রহী সভাপতি ও সম্পাদকের নাম নেওয়া হচ্ছে। এক একটি ওয়ার্ডে একাধিক যুবক তরুণরা নেতৃত্বে আসতে নাম লিখাচ্ছেন। তাদের মাঝে সমঝোতা না হলে তাদের অনুমতি ক্রমে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ নেতারা এক হয়ে বিশ্লেষণে দায়িত্ব অর্পন করছেন। এতে করে সবাই সাদরে গ্রহণ করছেন নেতৃত্ব। নেতা নির্বাচনে যুবকদের আগ্রহ লক্ষ করার মত। রাত ৯ থেকে ১০ বেজে যাচ্ছে তাও সবাই মনযোগ সহকারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার দিক নির্দেশনা মূলুক বক্তব্যে ব্যাপক উজ্জীবিত হচ্ছে তৃনমুল যুবলীগ।
গত ১৮ এপ্রিল সরনজাই ইউপির ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে শুরু হয় কার্যক্রম। সবচেয়ে আকর্ষণীয় সম্মেলন উপহার দিয়েছেন কামারগাঁ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতারা। ওইদিন রাত্রি সাড়ে ১০টা পার হয়ে যাচ্ছে তারপরও নেতাকর্মীতে উজ্জীবিত সভাস্থলে।
উপজেলার তালন্দ ইউপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নারায়নপুর স্কুল মাঠে। এতই উপস্থিতি মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে পড়ে। গত বুধবার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন এবং বৃহস্পতিবার মুন্ডুমালা পৌর যুবলীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে। এছাড়াও বাধাইড় পাঁচন্দর ইউপির আংশিক সম্মেলন হয়েছে। এরআগে সোমবার সরনজাই ইউপির বাকি পাঁচ ওয়ার্ডের সম্মেলন হয়েছে। তবে, ক’দিন পরে ঈদুল ফিতর। একারণে বাকি রয়েছে কলমা ও তানোর পৌরসভা। কিন্তু ঈদের পরে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হবে বলে নিশ্চিত করেন নেতারা।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম জানান, নানান কারণে দীর্ঘ সময় যুবলীগের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সম্মেলন হয়নি। রমজান মাসে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে সম্মেলন। এতোদিন পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও নেতাকর্মীদের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না জানান, মাননীয় সাংসদ আলহাজ¦ ওমর ফারুক চৌধুরীর দিক নির্দেশনা মোতাবেক যুবলীগকে নতুনভাবে গঠন করা হচ্ছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তরুণ নতুন মুখ বেশির ভাগ নেতৃত্বে আসছেন। ওয়ার্ড সম্মেলনে এত প্রতিযোগিতা হবে আগে ভাবতে পারিনি।
তবে, তানোর যুবলীগ যে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ সংগঠন তৃণমূল সেটা প্রমান করেছেন। আগামী ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। এমন ভাবনা থেকেই সাংসদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যুবলীগকে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী রুপে গঠন করা হচ্ছে। যাতে করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুবলীগ এক শক্তিশালী রুপে ভোটের মাঠে থাকবে বলে মনে করছেন তিনি।
কারণ যুবলীগ যেটা পারবে অন্যরা সেটা পারবে না। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস সেই ভাবেই তৃনমুলের নেতৃত্ব গঠন করা হচ্ছে। রমজান মাস তারপরও তৃনমুলের নেতাকর্মীরা গভীর রাত পর্যন্ত সম্মেলনে উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যেভাবে তৃনমুলের যুবলীগ নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে তাতে করে সাংসদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচনী মাঠে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।