রাজশাহীর তানোরে ১১ জনের মালিকানাধীন পুকুর ৮ শরীককে বাইপাস করে জোরপূর্বক পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মান করছেন প্রভাবশালী ৩ শরীক। ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলার কন্দপুর গ্রামে।
এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফলে, যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এনিয়ে গত ২৭ এপ্রিল বুধবার প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী ৩ শরীক কন্দপুর গ্রামের মৃত মনিরুদ্দীনের পুত্র আবদুর রশিদ ও আবদুর রকিব ও একই গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দীন মন্ডলের পুত্র আবু বাক্কারকে আসামি করে অপর ৮ শরীকের পক্ষে একই গ্রামের আবদুর রশিদের পুত্র মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি তদন্তপূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তানোর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের আদেশের মামলাটি ২৮ এপ্রিল তানোর থানায় পোছলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
মামলার বিবরণ, পুলিশ ও এলাকাবাসী৷ সুত্রে জানা গেছে, তাানোর উপজেলার কন্দপুর মৌজার, ১৪৭ ও ৩৭ আরএস খতিয়ানের .৪৩ একরের কাত .০৫ একর সম্পত্তি ১৯/০১/১৯৮৬ সালে ৩৭৫ নম্বর দলিল মুলে কন্দপুর গ্রামের খব্দুর রশিদের পুত্র মোশারফ হোসেনসহ তার ২ ভাই ক্র করেন।
এ অবস্থায় ওই সম্পতি শরীক মুলে ১১ জনে শান্তিশৃখংলার মধ্যে দিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেনন।
গত ২৫ এপ্রিল /২০২২ ইং তরিখে কন্দপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র আবদুর রশিদ ও তার ভাই আবদুর রকিব এবং একই গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দীন মন্ডলের পুত্র আবু বাক্কার কয়েকজন মাস্তান ও গুন্ডা বাহীনি ভাড়া করে লোহার রড় হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্রে স্বজ্জীত হয়ে জোরপুর্বক পুকুর ভরাট ও মার্কেট নিমর্মানের জন্য ইট বালি ও খোয়াসহ নিশান সামগ্রী৷ এনে শুরু করেন।
এসময় মোশারফ হোসেনসহ আরো ৮ শরীক ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর ভরাট ও মার্কেট নির্মান কাজে বাধা প্রদান করলে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালীরা উল্টো গালাগালিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করেন।
এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তজনা বিরাজ করছে। ফলে, যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন এলাকাবাসীসহ গ্রামবাসী।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত আবদুর রশিদ সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বরতে রাজি না হয়ে এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।