পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ- এ কথার বাস্তব নিদর্শন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানায় বর্তমান কর্মরত পুলিশের এএসআই শাহজালাল। তিনি মনপ্রাণে পুুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ এই মহৎ শব্দটি বুকে লালন করেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
পবীত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে ও কাশিপুর ইউনিয়নের ২০০ দুস্থ্য অসহায় মানুষকে ঈদ সামগ্রী হিসেবে চিনি ও লচ্ছা সেমাই বিতরণ করেছেন তিনি।
ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা অওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলবাড়ী সদর ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তেীকির হাসান তমালসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।
জানা গেছে, করোনার গ্রাসে মানুষ যখন নাজেহাল, চরম বিপদগ্রস্ত, সেই দুবির্ষসহ সময় থেকেই পুলিশের এএসআই শাহজালাল মানব কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন। তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিজের দৃপ্ত মনোবল আর উপার্জনের সাধ্যমতো একটি অংশ নিয়ে ছুটে চলেন মানুষের কল্যাণে।
এই জনতার পুলিশ শাহজালালের বাড়ি রংপুর বিভাগীয় শহরের পার্কের মোড় সংলগ্ন আদর্শ পাড়ায়। তিনি ওই পাড়ার আদর্শ শিক্ষক মরহুম বশির উদ্দিনের ৫ম পুত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকেই শাহজালাল মরহুম পিতার আদর্শ বুকে লালন করেই মানুষের উপকার করার মানষিকতা স্থাপন করেন।
এরপর কর্মজীবনের আসার পর তার মানব কল্যাণের কাজটি আরও দৃঢ় হয়। এরমধ্যে পার্ববত্যঞ্চল রাঙ্গামাটি পুলিশ হাসপাতালে মানবিক পুলিশ শওকতের বিভিন্ন ভালো কর্মকান্ড কাছাকাছি থেকে দেখে জনতার পুলিশ শাহজালালের হৃদয়কে অনুপ্রাণিত করে।
এএসআই শাহজালাল জানান, আমি করোনাকালীন সময় থেকে রংপুরসহ কুড়িগ্রামের বিভিন্ন স্থানে আমার উপার্জন থেকে সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। সম্পৃতি কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ও ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বস্ত্র বিতরণ করেছি।
এরমধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটায় একটি ক্বওমী-হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। রাজারহাটে অসহায় নারীদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেছি। এছাড়াও রংপুর শহরের কয়েকটি স্থানে বস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছি। এখন ফুলবাড়ীতে এক অসহায় ভূমিহীন নারীকে আবাসস্থল দেয়ার কাজ করছি।
এএসআই শাহজালাল আরও জানান, আমি অসহায় মানুষের জন্য আজিবন কাজ করে যেতে চাই। থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় অসহায় মানুষদের আইনি সহায়তা ও ভালো পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোনো মানুষ অসহায়ত্ব অবস্থায় আছে এমন খবর পেলে আমি সেখানে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
এএসআই শাহজালালের মতে, মানুষ যখন মারা যায় তখন সাথে সংসার জীবনের কোনো উপার্জনের সম্পদ কিছুই নিয়ে যেতে পারে না। তাই তিনি বেঁচে থাকার মধ্য থেকে নিজের উপার্জনের কিছু দিয়ে অসহায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন।
কর্মজীবন থেকে অবসর নেয়ার পরও নিজেকে মানব কল্যাণে নিবেদিত রাখবেন বলেও জানান জনতার পুলিশ শাহজালাল।