কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২ মে ২০২২ইং) বিকেলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন- আস্থানগর গ্রামের দাউদ মন্ডলের ছেলে লাল্লু (৪০), মৃত হাসেম আলীর ছেলে কাশেম (৫০), মৃত আবুল আলীর ছেলে রহিম (৫৫) এবং আজিজের ছেলে মতিয়ার। এ ঘটনায় ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেরামত ও ফজলু মন্ডল গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকেলে কেরামত ও ফজলু মন্ডল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় উভয় গ্রুপে চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ফজলু মন্ডলের সমর্থক লাল্টু, মতিয়ার ও কাশেম এবং সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত আলী গ্রুপে আব্দুর রহিম খুন হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫-২০জন। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলমের মুঠোফোন বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান রতন বলেন, আমি ঈদের ছুটিতে আছি। দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কেরামত ও ফজলু গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বিকেলের দিকে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।