অনলাইন নিউজ পোর্টাল উত্তরের আলো’র প্রকাশক,সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মানহানীর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৪ এপ্রিল জেলার বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী নাজমুল হুদা পারভেজ এই অভিযোগটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ০৩ মে ’২০২২ইং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি বা রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত নয় এমন একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল “উত্তরের আলো- নামক পোর্টালে” “একযুগ পর শিল্পকলা থেকে পদত্যাগ করলেন বিএনপি নেতা” শিরোনামে একটি সংবাদ অভিযোগকারীর দৃষ্টিগোচর হয়। একই সাথে ওই নিউজটি ঢ়ৎবংং জধভর ( সংবাদকর্মী) ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করা হলে- সেটিও তার দৃষ্টি গোচরে আসে। সংবাদটিতে লেখা হয়েছে, পদত্যাগ করলেন বিএনপি নেতা কিন্তু শিল্পকলা একাডেমী, বাংলাদেশ সরকারের একটি অনুমোদিত সরকারি সংগঠন। উপজেলা পর্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানটির পদাধিকার বলে সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এই প্রতিষ্ঠানটি বিএনপি’র কোন সহযোগী সংগঠন নয়। এখানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছাড়া কোন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে প্রতিষ্ঠানের কোন পদে কাউকে দায়িত্ব বা নিয়োগ দেয়া হয় না। অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয়েছে নাজমুল হুদা পারভেজ নাকি একযুগ পর পদত্যাগ করেছেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেন ১২ বছর একটানা তিনি সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন না। নিউজের শিরোনামে লেখা হয়েছে “একযুগ পর শিল্পকলা থেকে পদত্যাগ করলেন বিএনপি নেতা” আবার সংবাদের ভিতরে লেখা হয়েছে সাবেক বিএনপি নেতা পদত্যাগ করলেন- এটা থেকে স্পষ্ট যে নাজমুল হুদা পারভেজের সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যেই এই ধরনের বিভ্রান্তি মূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ বর্তমানে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী নই মর্মে অভিযোগ পত্রে দাবি করেছেন। প্রকাশিত সংবাদটিতে আবার লেখা হয়েছে-“ স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি ক্ষমতায় থাকা কালীন বিরোধী দলের নেতা কি ভাবে শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক হয়?”- এতে বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক বোঝাতে চেয়েছেন নাজমুল হুদা পারভেজ বর্তমানেও বিএনপির নেতা। অভিযোগ পত্রে দাবি করে বলা হয়,বর্তমান সরকারি দলের প্রতিপক্ষ বানানোর অপচেষ্টা করে তার মানহানি করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগকারীকে আবার ফ্রীডোম পার্টির নেতা বানানোর অপ প্রয়াসও চালানো হয়েছে। অভিযোগে নাজমুল হুদা পারভেজ প্রশ্ন রেখেছেন,্্্্্ নিউজ পোর্টালটির বার্তা সম্পাদক ও সম্পাদক কি ফ্রীডোম পার্টির চিলমারী শাখার কোন অনুমোদিত কমিটিতে নাজমুল হুদা পারভেজ কখনো সদস্য ছিলেন সেটা কি প্রমাণ করতে পারবেন? অভিযোগকারীর অভিযোগ এখানেও তাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে তার সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার অপ প্রয়াস চালানো হয়েছে।
অভিযোগ. সরকারের অনুমোদনহীন নিউজ পোর্টাল “ উত্তরের আলোর” বার্তা সম্পাদক এস,এম রাফি ,মোবাইল নং ০১৯৩০-৪৮১৩৬৯, সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মোবাইল-০১৯১১-২২৯১৫৯ এবং প্রকাশক এইচ,এম মেহেদী মোবাইল নং-০১৯৭৬৬৬১০৯৫ তিন জন মিলে নাজমুল হুদা পারভেজের সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার নিমিত্তে এই সংবাদটি প্রকাশ করে তার মানহানি ঘটিয়েছে। উল্লিখিত নিউজটি তার সামাজিক মান সম্মানের মারাত্মক ভাবে হানি ঘটিয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। এ ব্যাপারে নাজমুল হুদা পারভেজ অবৈধ নিউজ পোর্টালটি বন্ধসহ যে সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনি মানহানির অভিযোগ এনেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য নাজমুল হুদা পারভেজ ,চিলমারী মহিলা ডিগ্রী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। তিনি একজন পুরস্কার প্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, মোনাজাত উদ্দীন পদক প্রাপ্ত একজন সাংবাদিক, গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গণ মাধ্যম বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের উলিপুর উপজেলা ও চিলমারী উপজেলার সংবাদদাতা। পাশাপাশি বেতারের একজন নিয়মিত নাট্যকার ও আধুনিক গানের গীতিকার। এছাড়াও তিনি দৈনিক সমকালের চিলমারী প্রতিনিধি এবং একজন লেখক ও কবি। নাজমুল হুদা পারভেজের লেখা অনেক বই বাজারে রয়েছে। ২০২২ এর একুশে বই মেলায় নাজমুল হুদা পারভেজের দুটি উপন্যাস “ রক্তাক্ত ফতুয়া” ও মৃত্যু উপত্যকা” প্রকাশিত হয়েছে। ড. কে,এম মুজাহিদুল ইসলাম, পরিচালক, বাংলা একাডেমি ,ঢাকা বই দুটির মোড়ক উম্মোচন করেছেন একুশে বই মেলায়। কুড়িগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি তাকে চিলমারী উপজেলার শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে পুরস্কৃত করেছে।