শর্টফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রতিবন্ধী যুবককে রাতভর আটকে রেখে দলবেঁধে বলাৎকারের অভিযোগে শরিফুল ইসলাম রিপন ও ইসমাইল হোসেন বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে লক্ষীপুর পৌর শহর থেকে শরিফুল ইসলাম রিপন গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। এর আগে ৪ঠা মে রাতে লক্ষীপুর পৌর শহরের সোনালী কলোনীস্থ একটি ভাড়া বাসায় প্রতিবন্ধী যুবকে ঢেকে নিয়ে দলবেঁধে রাতভর বলাৎকার করে শরিফুল ইসলাম রিপনসহ কয়েকজন যুবক।
বৃহস্পতিবার মামলার পর পুলিশ ইসমাইল হোসেন বাবুকে গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেন বাবু। গ্রেপ্তাকৃত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানান, ইসমাইল হোসেন বাবু লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার দক্ষিণ চর মার্টিন গ্রামের মৃত আবু সাঈদ এর ছেলে ও সামাজিক সংগঠণ সবুজ বাংলাদেশের সেক্রেটারি। শরিফুল ইসলাম রিপন ওরফে কনক সদর উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের আজিজ উল্যার পুত্র ও সবুজ বাংলাদেশ এর সদস্য।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তার প্রতিবন্ধী সন্তানকে ৪ মে রাতে শরিফুল ইসলাম রিপন ও ইসমাইল হোসেন বাবুকে তাদের লক্ষীপুর পৌর শহরের সোনালী কলোনীস্থ একটি ভাড়া বাসায় ঢেকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে আটকে রেখে রাতভর বলাৎকার করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ভিকটিমের মুখে ও শরিরের বিভিন্নস্থানে আলামত দেখতে পান তারা। ভুক্তভোগীর নিকট থেকে বিষয়টি জানার পর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুগোটি মামলা নেন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে ইসমাইল হোসেন বাবুকে ও পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শরিফুল ইসলাম রিপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিপন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার এ ঘটনায় বিচার ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
লক্ষীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইসমাইল হোসেন বাবু ও শরিফুল ইসলাম রিপন ওরফে কনকসহ তারা এক স্বেচ্ছাসেবী সদস্যকে বলাৎকার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ আসামিদের আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ ছাড়া ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।