সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায়দের ৬০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় একটি পি-আপ ভ্যানকে আটক করেছে স্থানীয়রা। জানা যায়, আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতারণ করা হয়েছে।
৫ মে সৈয়দপুরের পোড়ার হাটের রুপানন্দের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে পি-আপ ভ্যানটি চাল নিয়ে আসছিলো নীলফামারী শহরে। স্থানীয় কিছু লোকজন গাড়ীর পিছন থেকে ধাওয়া করে নীলফামারী শহরের কালিবাড়ি মোড়ে এসে আটক করে। পরে সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের নির্দেশে চালগুলো থানায় পাঠানো হয়।
বোতলাগাড়ীর আনিছুর রহমান জানান, ওই চাল অনিয়ম করে নিজের লোক দিয়ে উত্তোলন করে চেয়ারম্যান। পরে চালগুলো রুপানন্দ তার বাড়ীতে জমা রাখে। ঈদের সময় জনতার চাপে বিক্রি করতে পারেনি তারা। তাই ঈদের পর সময়ে সুযোগে পিকআপ বোঝাই করে সৈয়দপুরের ব্যবসায়ির কাছে বিক্রি না করে নীলফামারীর ব্যবসায়ির কাছে বিক্রি করে। ওই চাল পৌছে দেয়ার সময় জনতা আটক করে।
বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে ঈদের আগে। কিন্তু একটি কু-চক্র মহল আমার বদনাম ছড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। নির্বাচনের সময় আমার বিপক্ষে নির্বাচন করা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলেও এর সাথে জড়িত আছে। ওই চাল আমার ইউনিয়ন পরিষদের না। তাই আমি দৌড়া দৌড়িও করছি না। যার চাল সে বুঝবে। এখানে আমার কোন হস্তক্ষেপ নেই।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, সত্য উদঘাটন করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।