বান্দরবান সেনা নিবাস সংলগ্ন এলাকায় সড়ক বিভাগের জমি ও পুকুর অবৈধভাবে ভরাট করে দোকান এবং বসত ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায়,বান্দরবান সেনা নিবাস সংলগ্ন সেগুন বাগিছা এলাকায় সড়ক বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমি এবং পুকুর ভরাট করে মনির চৌধুরী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান ও বসত ঘর নির্মান করছে। গত তিন বছর ধরে মনির চৌধুরী পুকুরের একটি বিশাল অংশ ভরাট করে দোকান ও বসত ঘর নির্মান করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট মোটা অংকের টাকার বিনীময়ে বিক্রি করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় মনির চৌধুরী ধীরে ধীরে পুরো পুকুর ভরাট করে জমি বিক্রি করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয় আবুল কালাম,মাছুদ আলম ও জাকির হোসেন জানান,ভুমি দস্যু মনির চৌধুরী সরকারী জায়গা ও পুকুর অবৈধভাবে ভরাট করে বসত ঘর এবং দোকান নির্মান করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে কোটি টাকায় বিক্রি করছে। এই পুকুরটা ছাড়া সেগুন বাগিচা এলাকায় আশপাশে কোন পুকুর নেই। স্থানীদের গোসলসহ যাবতীয় কাজে ব্যবহারে এই পুকুরটাই একমাত্র নির্ভর। এছাড়াও সেগুন বাগিচা আবাসিক এলাকায় অগ্নিকা- নির্বাপনে এই পুকুরের পানি ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। একটি আবাসিক ও জনগুরুত্বপুর্ন এলাকায় অবৈধভাবে জলাশয় ভরাট করে পরিবেশের মারাতœক ক্ষতি করছে। মনির চৌধুরী এর আগেও পুকুরে মসজিদের নামে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে পুকুরটি দখল করার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি সেনা বাহিনীর নজরে আসলে সেনা বাহিনী সাইন বোর্ড ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এব্যপারে মনির চৌধুরী পুকুর ভরাট করে বসত ঘর ও দোকান নির্মান করার সত্যত্বা নিশ্চিত করে বলেন, এসব আমাদের ওয়ারিশী সম্পত্তি। এই জায়গায় স্থাপনা নির্মান করতে কোন বাঁধা নেই। এই পর্যন্ত পুকুর ভরাট ও স্থাপনা নির্মান কাজে তাকে কেউ বাঁধা দেয়নি বলে তিনি জানান। এব্যপারে বান্দরবান সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন চৌধুরী জানান,বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার দুই পাশে ১২০ ফুট আবার কোন জায়গাতে এক পাশে ষাট ফুট অধিগ্রহনের জায়গা রয়েছে। সেগুন বাগিচা এলাকায় রাস্তার পুর্ব পাশে পুকুরসহ সড়ক বিভাগের ষাট ফুট জমি রয়েছে। কোন ব্যক্তি বা মহল কর্তৃক সড়ক বিভাগের জমি ও পুকুর অবৈধভাবে ভরাট করে স্থাপনা নির্মান করার ঘটনা এই প্রথম শুনলাম। হয়তো ঈদের লম্বা বন্ধের সুযোগ ভুমি দস্যুরা কাজে লাগিয়েছে। রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুছ সালাম জানান,অবৈধ ভাবে জলাশয় ভরাট করা পরিবেশ আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।