ঈদের ছুটি শেষে আজও রাজধানী ঢাকায় ফিরছে মানুষ। রোববার (৮ মে) সকাল থেকে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকামূখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া খুলনা মহা সড়কের ৭ কিলোমিটার অংশে যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়ালের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার ৭ মে শনিবার সন্ধ্যার পরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আসা অনেক যাত্রীবাহী বাস এখনও ফেরীর দেখা পায়নি। ১০ থেকে ১২ ঘন্টা অপেক্ষায় বসে থেকে খাবার,পানি,টয়লেট সহ তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বেশি কষ্টে পড়েছেন নারী,শিশু ও বয়স্করা।
দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পদ্মা নদী পারাপারে ২১ টি ফেরী ও ২২ টি লঞ্চ চলাচল করছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের চালক মোঃ কামাল বলেন, গতকাল রাত ১ টায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এসে পৌছেছি। আজ রোববার বেলা ১১ টা বেজে গেলেও এখনও ফেরীতে উঠতে পারিনি। ১০ ঘন্টার বেশি বাসে বসে থেকে যাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অনেক যাত্রী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বাস যাত্রী মোঃ কামরুল মিয়া বলেন, ১০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে বাসে বসে আছি। গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। খাবার ও পানির অভাবে পড়েছি।
যশোর থেকে ঢাকাগামী বাস যাত্রী সবুজ মোল্লা বলেন, কোলের শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছি। শিশুটিকে বাতাস করতে হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রী সুলতানা পারভীন বলেন, গতকাল রাতে বাস ঘাটে আসলেও প্রায় ১০ ঘন্টা পরেও ফেরী পায়নি। দৌলতদিয়া ঘাটে আসলেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৯ টি ফেরী চলছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার জানান, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।