মেহেরপুরের গাংনীতে আগুনে ঝলসে গেছে অসহায় শিশু মরিয়ম খাতুনের (৭)। সম্প্রতি মোমবাতির আগুনে তার শরীর ঝলসে যায়। অগ্নিদগ্ধ মরিয়ম খাতুন গাংনী পৌর শহরের ফতাইপুরের খোকনের মেয়ে।
প্রতিবেশিরা বলেন, গাংনী পৌরসভাধীন ৬ নং ওয়ার্ডে ফতাইপুর গ্রামের দিনমুজুর খোকনের মেয়ে মরিয়ম খাতুন গত ২২ এপ্রিল মোমবাতির আগুন তার শরীরের থাকা জামা কাপড়ে লেগে বুক ও পেটের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় গাছগাছড়া দিয়ে চিকিৎসা করছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোন মতে অভাব অনটনের মাঝে চলছে মরিয়ম খাতুনদের জীবন সংসার।
স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দীন জানান,ভাঙ্গাচোরা ঘরে মরিয়ম খাতুনের বাবা মা দাদদাদী একত্রে বসবাস করে। মরিয়ম খাতুনের মা অনেকটাই মানষিক প্রতিবন্ধী। মরিয়মের বাবারও শরীর দূর্বলতা থাকার কারণে ঠিকমত কাজকর্ম করতে পারেনা। প্রতিবেশিদের দেয়া সহযোগিতায় কোন রকম চলে সংসার তাদের। তাদের ঠিকমত খাবার জোটেনো কিভাবে চিকিৎসা করাবে এই নিয়ে বড় দুচ্ছিন্তায় পড়েছে পরিবারটি। শিশু মরিয়ম খাতুনের চিকিৎসায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবর্তনের মেহেরপুর প্রধান মো: সাইদুর রহমান বলেন,মরিয়ম খাতুনের ঘরবাড়ির অবস্থা নাজুক। একটু ঝড়বৃষ্টি হলেই পানিতে ভরে যায় ঘর। চিকিৎসা সেবা নেওয়ার মত কোন আর্থিক অবস্থা তাদের নেই। একদিকে চিকিৎসার খরচ অন্য দিয়ে খাদ্য সংকট সব মিলিয়ে মরিয়ম খাতুনের পরিবারের সদস্যরা রয়েছে অনাহারে অর্ধহারে। বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতা পেলে চিকিৎসার পাশাপাশি একটি ঘরের ব্যবস্থা করা সম্ভব হতো।
শিশু মরিয়মের দাদি জাহেদা খাতুন বলেন,অর্থের অভাবে অনাহারে অর্ধাহারে চলে জীবন। চিকিৎসা করাবো কি দিয়ে। বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে মরিয়মের চিকিৎসা করানো সম্ভব হতো।