সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার প্রখ্যাত পীর সৈয়দ তাজুল ইসলাম জয়ফল হুজুরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি তারাগন দরবার শরীফের পীর ছিলেন। সৈয়দ তাজুল ইসলাম জয়ফল দেশ বরেণ্য প্রখ্যাত ওলি সৈয়দ শাহ শেরআলী (রহ) এর নাতি।
সোমবার দুপুর ২টায় পৌর শহরের তারাগন দরবার শরীফ মাঠ প্রঙ্গনে মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে প্রয়াতের স্বজনদের পাশাপাশি বন্ধু বান্ধব,বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী,আলেম উলামা,ভক্ত আশেকান, মাদ্রাসার ছাত্র,শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কয়েক হাজার হাজার ধর্মপ্রম মুসল্লি উপস্থিত হয়ে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। নামাজ শেষে মাজার সংলগ্ন করস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে গত রোববার দিবাগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে তারাগন নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ,,,,,রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৭৫) বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ছেলে ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী আত্মীয়স্বজন ও ভক্ত আশেকান রেখে গেছেন।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার অগণিত ভক্ত আশেকানরা এক নজর দেখতে বাড়িতে ছুটে আসেন। দুপুর ২টায় তার মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের জানাজার নামাজে ইমামতি করেন তিনার ছেলে সৈয়দ শাওন।
মরহুমের ছেলে সৈয়দ তানজিল শাহ তচ্ছন জানায়, তার পিতা দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভোগছিলেন। গত কয়েক দিন আগে তার শরীর খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতি হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসকরা বাড়িতে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। রাতে বাড়িতে নিয়ে আসলে স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি ইন্তেকাল করেন।
এদিকে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে এসে সমাজের সর্বস্তরের লোকজন বলেন পীরজাদা সৈয়দ তাজুল ইসলাম জয়ফল শাহ ছিলেন একজন বিরল ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন হাস্যউজ্জল ও স্পষ্ট ভাষী লোক। তিনি ছিলেন সর্বশ্রেনীর লোকদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। সর্বদাই তার পরোপকারই করা ছিল প্রধান কাজ। তিনি সমাজে যে আদশের্র দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা দিক নির্দেশক হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন বহুগুনের অধিকারী। তার মৃত্যুতে উপজেলাবাসী ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একজন লোককে হারাল।
তার মৃত্যুতে কসবা আখাউড়ার সংসদ সদস্য আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আবুল কাশেম ভ’ূইয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন, সাবেক পৌরসভা মেয়র মো: নুরুল হক ভূইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনির হোসেন বাবুল, সেলিম ভুইয়া, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নেতা আলহাজ¦ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাবেক উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক লায়ন আবুল মনসুর মিশন, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ, উপজেলা জাতীয় পার্টিও সভাপতি মো: নজরুল হক ধনু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বাহার মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর মানিক মিয়া মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোক সন্তÍপ্ত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।