ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গত দুদিন ধরে সুন্দরবন উপকুলে বইছে হালকা বাতাস ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে স্থানীয় নদ-নদীর পানি। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে গত দুদিন আগে সাগরে মাছ ধরা প্রায় সারে তিন শত ফিশিং ট্রলার আশ্্রয় নিয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল সহ শরণখোলার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী বিভিন্ন খালে। অশনি মোকাবেলায় মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলনের সভাপতিত্বে উপজেলা দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে। সভায় দুর্যোগ পূর্ব ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রস্তত রাখা হয়েছে সুন্দরবনসহ উপজেলার ৯১টি আশ্রয় কেন্দ্র সহ খাদ্য সামগ্রী।
এদিকে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১৫শ বিঘার বোরো ধান নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষীরা। পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা আলোরকোল থেকে ফরেস্টার দিলিপ মজুমদার মুঠোফোনে জানান, সোমবার সকাল থেকে দুবলায় বৃষ্টি হচ্ছে। কালো মেঘের সাথে বইছে হালকা বাতাস। সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলার সহ জেলেরা আশ্রয় নিয়েছে কটকা, কচিখালী, দুবলার চরের কাছাকাছি বিভিন্ন খালে।
আজ বিকেল ৫টায় উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্তর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর ই আলম সিদ্দিকী, শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন প্রমুখ। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সদস্য এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ৯১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, মোমবাতি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিটি ইউনিয়নে আলাদা আলাদা দুর্যোগ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।