নওগাঁর মান্দায় মাত্র দুই টাকার জন্য দোকানদার দম্পতিকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের ডাকাতের মোড়ে দোকানঘরে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মান্দা থানায় এজাহার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন রেজাউল ইসলাম সরদার (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী বুলু বেগম (৫০)। তাঁরা মৈনম ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে তাঁরা ডাকাতের মোড়ে ব্যবসা করে আসছিলেন।
আহত রেজাউল ইসলাম সরদারের ছেলে বুলবুল হোসেন বলেন, রামপুর গ্রামের ভুলু সরদার মঙ্গলবার সন্ধ্যালগ্নে বাবার দোকানে এসে একটি পান, একটি সিঙ্গারা ও দুধচা পান করেন। এতে তাঁর বিল দাঁড়ায় ১৭ টাকা। কিন্তু ভুলু সরদার ১৭ টাকার পরিবর্তে ১৫ টাকা দিতে চান। এনিয়ে বাবার সঙ্গে ভুলু সরদারের কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে ভুলু সরদার টাকা না দিয়ে দোকান থেকে এক প্যাকেট পাউরুটি ও এক কার্টুন সেভেনআপ নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। অবস্থা দেখে স্থানীয়রা এসে তাঁদের উভয়কে হটিয়ে দেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উজ্জ্বল হোসেন বলেন, এরপর কিছু পরে ভুলু সরদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রেজাউল সরদারের দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকানদার রেজাউল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী বুলু বেগমকে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় চায়ের ষ্টল ও মুদিখানার দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে মালামাল তছনছ করে দেওয়া হয়।
আহত ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, হামলাকারীরা তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরসহ অন্তত দেড় লাখ লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া আরও লাখ টাকার মালামালের ক্ষতিসাধন করে।
এদিকে ঘটনার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ভুলু সরদার। এ কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, এ-সংক্রান্ত একটি এজাহার পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্তের জন্য থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।