জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন থাকা এক ভিক্ষুক ও তার পরিবারের সদস্যদের শারিরিক নির্যাতন ও টেনে হিঁচরে হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশের ৪ এসআইকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত, ২ কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করাসহ তদন্ত সাপেক্ষে সরিষাবাড়ী থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন জামালপুরের পুলিশ সুপার মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ।
জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি বাজার এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ী ভিক্ষুক আবদুল জলিল (৬৫) এর ২০ শতক জমিতে বসতভিটা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল। প সম্প্রতি ওই জমি একই এলাকার প্রভাবশালী মুজিবুর রহমান দাবি করায় দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। পরবর্তি ঐ জমি নিয়ে জজ আদালতে মামলা হলে বিজ্ঞ আদালত ভিক্ষুক আবদুল জলিলের পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে সোমবার (৯ মে) সকালে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে আবদুল জলিলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়।ঐ হামলায় আহত হন আবদুল জলিল(৬৫)সহ তার স্ত্রী লাইলী বেগম, বড়ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, মেজো ছেলে ওয়ায়েজ করোনি, ছোট ছেলে হামদাদুল হকসহ পরিবারের অন্য সদস্য জসিম মিয়া। পওে এলাকাবাসিরা আহতদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ঐ হামলার পর উল্টো মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে চিকিৎসাধীন ৪ জনসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হলেম মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিক্ষুক আবদুল জলিলসহ ৪ জনকে হাসপাতালের শয্যায় শায়িতদের শারিরিক নির্যাতন ও চ্যাংদোলা করে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় সরিষাবাড়ি থানার পুলিশ। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ জানান, এ ঘটনায় তিনি সরিষাবাড়ী থানার এসআই আলতাব হোসেন, এসআই সাইফুল ইসলাম, এসআই ওয়াজেদ আলী ও এসআই মুন্তাজকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন এবং কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও নারী কনস্টেবল সাথী আক্তারকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে
তদন্ত সাপেক্ষে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মীর রকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহম্মেদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়দের দাবি, ভিক্ষুকের বসতভিটা জবর দখল করতে গিয়ে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের মারধর ঘটনা ঘটিয়ে আবার উল্টো মামলায় ফাঁসাে বিরোদ্ধে সুবিচার দাবী করেছেন।