রাজশাহীতে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মো. কামরুল ইসলাম। এর আগে বার কাউন্সিল নির্বাচন-২০২২-এর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ’ মনোনীত প্যানেলের পরিচিতি সভায় যোগদানের জন্য মঙ্গলবার (১০ মে) রাজশাহীতে এসে সার্কিট হাউজে ওঠেন। বুধবার দুপুরে রাজশাহী আদালতের ১নং বার ভবনে আয়োজিত পরিচিতি সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই মন্ত্রীর যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার (১১ মে) সকালে রামেক হাসপাতালের ভিভিআইপি কেবিনে ভর্তি করা হয়।
এ প্রতিবেদন বুধবার বিকেলে লেখা অবস্থায় তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তবে এরপরও আইসিইউসহ তাঁর জন্য সব ধরনের জরুরি ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। আর এ খবর পেয়েই তাঁকে দেখতে বুধবার দুপুরে হাসপাতালে ছুটে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর দলটির সিনিয়র এই নেতার চিকিৎসা সেবায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীসহ এ্যাড. কামরুল ইসলামের জন্য গঠিত বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. খলিলুর রহমান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ্য ডা. নওশাদ আলীসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম ইয়াজদানী জানান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কমপক্ষে ৯ থেকে ১০ বার পাতলা পায়খানা হয়েছে বলে জানতে পেরিছি। তবে হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর শরীরে ব্লাড প্রেশারও কম পাওয়া গেছে। ভর্তির পর এ্যাড. কামরুল ইসলামের চিকিৎসায় রামেক হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমানকে প্রধান করে নয়জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করছেন।