ফরিদপুরে মজুত করা ও বেশি দামে তেল বিক্রির অভিযোগে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হলে বোতলজাত ও খোলা অবস্থায় মোট ২৯১ লিটার তেল। একই সাথে ১০দিনের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লা এলাকায় অবস্থিত হেলিপোর্ট বাজারে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারি পরিচালক সোহেল শেখ।
অভিযানকালে ওই বাজারের আসাদ স্টোর থেকে ১৫০ লিটার বোতল জাত তেল জব্দ করা হয়। এক পরিমান তেল গুদামজাত করে রাখায় ওই দোকানের সত্ত্বাধীকারী ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দী এলকার মো. মোকসেদ আলী (৩৮) কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে আগামী ১০দিনের জন্য দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে ব্যবসায়ী মো. মোকসেদ আলী দাবি করেন, তিনি তেল গুদামজাত করেন নি। গত বৃহস্পতিবার তিনি ওই এলাকায় অবস্থিত হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ওই তেল কিনেছেন।
পরে অভিযান চালানো হয় ওই বাজারে অবস্থিত মফিজ স্টোরে। ওই দোকান থেকে এক লিটারের ৪১ বোতল এবং ১০০ লিটার খোলা তেল জব্দ করা হয়। ওই ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বোতলে প্রতি লিটার তেলের দাম ১৬০ টাকা লেখা থাকলেও প্রতি লিটার তেল ২৫০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হচ্ছিল।
অভিযানকালে মফিস স্টোরের সত্ত্বাধীকারী মফিজউদ্দিন শেখকে (৬৫) ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে ওই প্রতিষ্ঠানটিও ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চালানো হয়। ২০০৯ সালের বোক্তা অধিকার আইনের ৫৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ওই দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও দোকান দুটি ১০দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এসময় জ্যেষ্ট জেলা বিপনণ কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন ও জেলা সেনিটারি পরিদর্শক বজলুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।