সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ভাবির খুনি দেবর একরামুল হোসেন (৪০) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার খুলুর মাটি গ্রাম থেকে র্যাবের হাতে আটক হয়েছে। আটক একরামুল চান্দেরগাও গ্রামের মৃত আবদুল মতিনের পুত্র।
র্যাব জানায় রোববার সকালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার খুলুর মাটি গ্রামে জয়নাল মিয়ার বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে আটক করেছে র্যাব।
জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের চান্দেরগাও গ্রামের আপন দুই ভাই আকমল হোসেন ও একরামুল হোসেনের মধ্য জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ৯ মে সকালে বিরোধ পূর্ণ জায়গায় আকমল হোসেনের স্ত্রী সুলেখা বেগম ধান শুকাতে ছিলেন। এ সময় একরামুল হক সেখানে গিয়ে জমিজমা বিষয়ে কথা বলার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। উত্তেজিত একরামুল হক ভাইকে মারতে এলে সুলেখা বেগম গিয়ে বাধা দেন। তখন সুলেখা বেগমের বড় ছেলে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী সাইদুল হক এগিয়ে গেলে একরামুল তাকে দা দিয়ে কোপ মারেন। তখন সাইদুল হককে সরিয়ে দেওয়ায় কোপটি তার গায়ে না লেগে সুলেখা বেগমের মাথায় লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।
ভাবি মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর দেবর একরামুল হোসেন গ্রাম থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। সুলেখা বেগম নিহতের ঘটনায় ১৪ মে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে একরামুল কে আসামি করে জামালগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব সুনামগঞ্জ সিপিসি ৩ এর উপপরিচালক লেঃ কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ জানান, ঘটনার পর থেকে একরামুল তার বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তাকে জামালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।