খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, ভারত সরকারিভাবে গম রফতানি বন্ধ করেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত থেকে এ পর্যন্ত তিন লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে সিলেট সদর খাদ্যগুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় ভারতের গম রফতানি বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আগাম কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ভারত সরকারিভাবে গম রফতানি বন্ধ করেনি। তাদের উৎপাদিত গমতো বিক্রি করতেই হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও চাষাবাদ হয়েছে অনেক বেশি। ফলে ধান-চালের শক্তিশালী একটি মজুদ গড়ে উঠবে। এছাড়াও আমাদের আউশ এবং আমন ধানের প্রচুর মজুদ রয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে আগামী আউশ ফসলও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই দেশে কোনোভাবেই খাদ্যসংকট তৈরি হবে না। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে। গত এক বছরে আমরা বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করিনি। তবে দেশে গম না হওয়াতে বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত থেকে আমরা তিন লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। পরে ভারত থেকে আরও গম আমদানি করা হবে। তিনি বলেন, বিভাগীয় শহর সিলেটে আধুনিক ‘রাইস সাইলো’ স্থাপন করা হবে। এজন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পেলে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু হবে। সিলেটে রাইস সাইলো হলে ধানসহ কয়েক হাজার মেট্রিক টন খাদশস্য মজুদ করে রাখা যাবে।
কৃষকের ধানের সরকারি মূল্যের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে আসছে। ঘোষণা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। কৃষকরা যাতে বাজারে ধান বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তাই ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেখান থেকে সিলেট সদর খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে যান। শেষে সিলেট সার্কিট হাউসে কিছু সময় অবস্থান করে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করেন।