তিন বছরেও শেষ হয়নি হবিগঞ্জের মাধবপুর-চৌমুহনী সড়কের নির্মাণ কাজ। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলার ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা, আদাঐর ও পাশ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার কয়েক হাজার মানুষকে প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে কষ্ট করে উপজেলা সদরে আসতে হয়। নিদিষ্ট সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার লক্ষাধির জনসাধারন।
জানা যায়- ২০১৯ সালে এলজিইডি ১৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারন করে মাধবপুর-চৌমুহনী সড়কের ১২ কিলো মিটার সংস্কার কাজের টেন্ডার আহবান করে। ঠিকাদার নির্বাচিত হয় ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ। কাজটি ২০২১ সালের জুনে সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলে বর্তমানে ৭০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
কয়েকজন অটোরিক্সা (সিএনজি)চালক জানান-দিনের বেলাও আমরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারি না। ধুলা-বালিতে ভরে যায় সব। গাড়ি রাস্তাঘাটের মধ্যে নষ্ট হয়, উল্টে যায়, চাকা পামচার হয়। সব সময় আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইস্কান্দার মীর্জা ফারুক জানান, মাধবপুরের দক্ষিণাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। মাধবপুর থেকে হরষপুর চৌমুহনী রাস্তার কাজ ধীরগতিতে চলার কারণে খুব কষ্টে চলাফেরা করছি আমরা। আমাদের এই রাস্তাটুকু যেন দ্রুত সংস্কার করে আমাদের দুঃখ-দুদর্শা থেকে যেন মুক্তি দেয়।
আদাঐর ইউ/পি চেয়ারম্যান মীর খুরশেদ আলম জানান-রাস্তার কাজের যে গতি তা কবে যে শেষ হবে তা বলা যায় না। আমার ইউনিয়নের অংশটাই বেশী ভাঙ্গা।
চৌমুহনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, এটি একটি জনবহুল রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে এই অচল অবস্থার কারণে জনমনে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঠিকাদার কারো কথা শোনেন না। তিনি তার ইচ্ছে মতো কাজ করেন।
হাসান এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আরিফুর রহমান জানান, ধীরগতির কারণ হচ্ছে করোনায় কাজ অনেক দিন বন্ধ ছিল। কারোনার কারণে কোথাও কাজ করা যাচ্ছিল না। নতুন করে ইট আসছে এখন আমরা কাজ শুরু করছি। আমাদের হাতে যে সময় আছে তার মধ্যে কাজ শেষ করে দেব।
মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম ভ’ইয়া জানান-১২ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার আবারও সময় বর্ধিত করে নিয়েছেন। আশা করা যায় বর্ধিত সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারবে।
হবিগঞ্জ জেলা প্রকৌশলী আবদুল বাছির জানান, ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়। করোনা ও ভারত থেকে পাথর আনতে সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। প্রায় ৭ মাস এলসি পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এ কারণে কারপেটিং কাজে বিঘœ ঘটে। ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এর সময় বাড়ানো হয়েছে জুন পর্যন্ত। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুতই কাজটি শেষ করার।