শেরপুরে যুবতীকে গণর্ধর্ষণের
অভিযোগে হাফিজুর রহমান ওরফে মন্টু (৩৫)নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই ঘটনায় অপর অভিযুক্ত আলম মিয়া (২৭) পলাতক রয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামে সোমবার (১৬ মে)
বিকেল ৫টার দিকে বড় বোনের সাথে কবিরাজ বাড়ি চিকিৎসার জন্য যাবার পথে একটি লেবু
বাগানে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে ভুক্তভোগি পরিবার।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের চকপাঠক মহল্লার এক বাসার
ভাড়াটিয়া তার ছোট বোনকে সাথে নিয়ে সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার লছমনপুর
নয়াপাড়া গ্রামের কবিরাজ হাবিবুল্লাহ সাধুর বাড়ি যাবার পথে স্থানীয়
সুরুজ্জামানের ছেলে হাফিজুর রহমান ওরফে মন্টু ও আলম মিয়া দুই বোনকেই
জোরপূর্বক লেবু বাগানে নিয়ে যায় এবং কৌশলে তাদের আটকে রেখে ছোট বোনকে
পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ছোট বোনকে সাথে নিয়ে ধর্ষিতার বড়বোন ওই রাতেই দুই
ধর্ষকের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদের নেতৃত্বে সদর ফাঁড়ির
(ওসি) সারোয়ার হোসেন, এসআই খোকন চন্দ্র সরকার, এসআই রুবেল মিয়া সঙ্গীয়
ফোর্সসহ গেল রাত ২টার দিকে লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হাফিজুর
রহমান ওরফে মন্টুকে গ্রেফতার করে।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া
সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা
হয়েছে। সেই সাথে অভিযুক্ত মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর অভিযুক্ত
আলম মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষনের শিকার ওই যুবতীকে
শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারীর পরীক্ষার পর আদালতে জবানবন্দির জন্য
পাঠানো হয়েছে।