ফুলবাড়ীয়ায় আলহেরা একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত গণিতের সহকারি শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম মিন্টু’র স্ত্রী ও স্বজনরা একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক মো. নুরুল ইসলাম খানসহ তার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ফুলখড়ি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এবং যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. নুরুল ইসলাম খান ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গত শনিবার সকালে আজাহারুল ইসলামের স্ত্রী ও স্বজনরা হঠাৎ করে একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও সাংবাদিক মো. নুরুল ইসলাম খানের বাসায় গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসেন। এ ঘটনায় গত রোববার সাংবাদিক নুরুল ইসলাম খান ফুলবাড়িয়া থানায় একাটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জিডি নম্বর-৬১৬, তাং-১৫/০৫/২০২২ইং।
মঙ্গলবার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে জাল নিবন্ধনধারী শিক্ষক আজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত সকল ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, আলহেরা একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের সহকারি শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম মিন্টুর নিববন্ধন সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয় মাউশি। নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘ গড়িমিসি শেষে সাময়িক বরখাস্ত করলেও আজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সাংবাদিক মো. নুরুল ইসলাম খান বলেন, আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ জড়িত না, সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকুরি নিয়ে আজাহারুল ইসলাম শিক্ষক সমাজেরসহ বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার বাসায় গিয়ে আমাকেসহ পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, নিবন্ধন সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তার বিরুদ্ধে মামলা না করায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে জানানো হবে।