হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ধর্মঘর আঞ্চলিক সড়কের কৃষ্ণপুুর এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রীজের বিকল্প কাঠের ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় দক্ষিন মাধবপুরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে এ আঞ্চলিক সড়কে এখন সরাসরি কোন যানচলাচল করতে পারছেনা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ৩টি ইউনিয়নের সাধারন যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। সাধারন মানুষ নির্মাণাধীন ব্রীজ দিয়ে পায়ে হেটে ঝুকি নিয়ে ব্রীজ পার হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়-২০২০ সালে এপ্রিল মাসে এলজিইডি প্রায় ২ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে ওই ব্রীজটি সর্মাণ করার জন্য টেন্ডার আহবান করে। হাসান এন্টাপ্রাইজ ব্রীজটির ঠিকাদার নির্বাচিত হওয়ার পর পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে জন সাধারন চলাচলের জন্য নাম সর্বস্ব কাঠের একটি ব্রীজ নিমার্ণ করে। ব্রীজটির নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার সঠিক সময়ে না করে সময় বর্ধিত করতে থাকে। বর্তমানে ব্রীজের মাত্র ৬০ ভাগ কাজ সর্ম্পূন হয়েছে।
যানবাহনের চালকরা জানান পুরাতন ব্রীজ ভেঙ্গে নতুন ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বিকল্প রাস্তায় চলাচলের জন্য কাঠের একটি বিকল্প ব্রীজ তৈরি করা হয়। কিন্তু এটি দিয়ে শুধু তিন চাকার হালকা ছোট যানবাহন চলাচল করত। কিন্তু গত ৩/৪দিন হঠ্যাৎ ভারি বষর্ণে বিকল্প কাঠের ব্রিজটি পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এই ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই আঞ্চলিক সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাল বন্ধ হয়ে গেছে। এখন নিমার্ণাধীন ব্রীজ দিয়ে সাধারন মানুষ অতি ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। বহরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দিন জানান, বিকল্প ব্রীজটি বড় ও মজবুত করে তৈরি করলে পানির ধাক্কায় সহজেই ভেসে যেত না। নামে মাত্র একটি বিকল্প কাঠের ব্রীজ তৈরি করা হয়েছিল। যা শুরুতেই ছিল নড়বড়ে। মূল ব্রীজ তৈরি করতে আরো অনেক সময় প্রয়োজন তাই অতি দ্রুত বিকল্প ব্রীজ তৈরি করতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করা হয়েছে। মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহআলম ভ’ইয়া জানান, ভারি বর্ষনের কারণে বিকল্প ব্রীজ টি ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দ্রুত বিকল্প ব্রীজ তৈরি সহ মূল ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।