নীলফামারীর ডিমলায় পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকার স্বামীর বিরুদ্ধে পরিছন্নকর্মী ও মাঠকর্মীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমকতা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ৩ নারী কর্মী। জানা যায় নাউতরা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা রিনা বেগমের স্বামী আবদুল গাফ্ফার লেবুর বিরুদ্ধে ওই পরিছন্নকর্মী ও ২জন নারী মাঠকর্মীকে শ্লীলতাহানী ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগে এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রিনা বেগমের স্বামীর কারণে নাউতরা পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো। রিনা বেগমের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ঝুনাগাছ চাপানি পরিবার কল্যাণ কে›ন্দ্র হতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার পালসা ইউনিয়নে বদলি করেন। পরবর্তীতে তিনি পুনরায় নাউতরা ইউনিয়নে বদলি হয়ে আসেন। নাউতরা ইউনিয়নে যোগদানের পর থেকে রিনা বেগম ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অফিস নিয়মিত না করা, সরকারী ওষুধ বিক্রি, টাকা ছারা গর্ভবতী নারীদের সেবা না দেয়া, গর্ভবতী নারীদের বিভিন্ন সেবার টাকা নেয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠলে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকাকে পুজি করে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায় গত ১১ মে নাউতরা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ঔষদ আনার অযুহাতে একাকী রুমে পেয়ে শ্লীলতাহানী করেন। এ সময় সিএসবিএ দুই কর্মী গেলে তাদেরকেও শ্লীলকাহানী করেন। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে আবদুল গাফ্ফার লেবু বলেন, ঘটনার দিন আমার মিসেস অসুস্থ থাকায় স্টোর রুমে সিএসবিএ কর্মীসহ ঔষন আনার জন্য রুমে যাই। তার সাথে শ্লীলতাহানীর কোন ঘটনা ঘটেনি। এ সময় আমার স্ত্রী পাশের রুমে ছিলেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসিন আকন্দ বলেন, তিনজন মাঠ কর্মীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মেতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নীলফামারীর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া গেলে ওই মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।