জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড তাপদাহে গত কয়েকদিন ধরে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। অসহ্য গরমে ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পরেছে। তাই বিপাকে পরেছেন শ্রমজীবী মানুষ।
দিনমজুর, রিকশাচালক ও নিন্মআয়ের মাঠকর্মীরা বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপদাহ থেকে রেহাই পেতে খুঁজতে থাকেন শান্তির আশ্রয়। কিন্তু সবার কপালে তা জোটে না বলে জানিয়েছেন, নগরীর রসুলপুর এলাকার রিকশাচালক মুজিবুল হক। তিনি বলেন, দুপুরের দিকে খুব গরম পড়ে, ঘামে শরীর একেবারে ভিজে যায়। তখন রেস্ট করার সুযোগ নেই, স্কুল-কলেজ ছুটি হলে ছেলে-মেয়েরা বের হয়, ভালো ভাড়া পাই।
বেসরকারী চাকরিজীবী মোসাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, তীব্র তাপদাহ চলছে। এরমধ্যে সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় কিছুটা হলেও অফিসের মধ্যে ঠান্ডা জায়গায় রয়েছি। কিন্তু কষ্ট হচ্ছে ওইসব মেহনতি মানুষের জন্য, যারা জীবন জীবিকার জন্য তীব্র গরমের মাঝেও মাঠে-ঘাটে, জমিতে কিংবা রাস্তায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় বলেন, জ্যৈষ্ঠের শুরু অর্থাৎ ১৫ মে থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ পরিস্থিতি বেশি দিন থাকবেনা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সাধারণত জুনের আট থেকে দশ তারিখের মধ্যে রানসেট করে। ফলে বৃষ্টি হবে এবং তাপমাত্রা কমে আসবে।