বরিশালের বাবুগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছে জাপা নেতা নজরুল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জাহাঙ্গীরনগ ইউনিয়ন আলীগের সভাপতি মোঃ ইউসুফ খাঁন গত ৪ অক্টোবর ২০১৮ ইং আশা ব্রিক্সের মালিক জাপা নেতা নজরুল ইসলাম হেমায়েতকে প্রতি হাজার ইটের মুল্য ৬ হাজার টাকা দরে ৫০ হাজার ইটের মুল্য বাবদ নগদ ৩ লক্ষ টাকা দেয়ায় ইটভাটা মালিক হেমায়েত আশা ব্রিকস এর রশিদ আ.লীগ সভাপতি ইউসুফ খানকে প্রদান করেন। র্দীঘ ৪বছর অতিবাহিত হলেও আওয়ামী লীগ নেতাকে ইট এবং টাকা না দিয়ে টালবাহানা করে আসছে ইটভাটা মালিক জাপা নেতা নজরুল ইসলাম হেমায়েত। একপর্যায়ে আশা ইটভাটার মালিক জাপা নেতা নজরুল ইসলাম হেমায়েত গত ৩ মে ২০২২ ইং ঈদুল ফিতরের দিন আগরপুর বন্দরে আসলে ইট ক্রেতা ইউসুফের সাথে আকস্বিক ভাবে স্বাক্ষাৎ হয় ইটভাটা মালিক জাপা নেতা নজরুল ইসলাম হেমায়েতের। এ সময় আ.লীগ সভাপতি ইউসুফ খান তার ইট ক্রয় বাবদ ৩লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে জাপা নেতা ও ইটভাটা মালিক নজরুল ইসলাম হেমায়েত ৩ জুলাই ২০২২ ইং তারিখের মধ্য ৩ লক্ষ টাকার লাভ সহ সর্ব মোট ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দেয়ার অঙ্গিকার করে ৩ শত টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর দেয়। এ সময় আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জহির ও পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মাসুদ উপস্থিতিতে ইটভাটা মালিক ও জাপা নেতা নজরুল ইসলাম হেমায়েত স্টাম্পে সই করেন। এদিকে ইটভাটা মালিক ও জাপা নেতা নজরুল ইসলাম হেমায়েত নয়া কৌশল করে বরিশাল বিজ্ঞ আদালতে আওয়ামী লীগ সভাপতির ইউসুফ খানসহ ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখ করেছেন আ.লীগ সভাপতি ইউসুফ খান তার আত্মীয়দের নিয়ে তাকে আটকিয়ে স্টাম্প স্বাক্ষর নিয়েছে। যার সি আর মামলা নং- ৫৪/২০২২ বাবুগঞ্জ। এ ব্যাপারে আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক জহির হোসেন বলেন ইটভাটা মালিক নজরুল ইসলাম ও আ.লীগ সভাপতি ইউসুফ খানের আপোশ মিমাংশায় স্টাম্পে লিখে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। জোরপূর্বক ভাবে ইটভাটার মালিক নজরুল ইসলাম হেমায়েতের কাছ থেকে কোনো স্বাক্ষর নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।