’প্রাণ সখিরে ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে?’- এরকম চমৎকার এবং জনপ্রিয় গানের সাথে জড়িয়ে আছে গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত কদমফুল এবং কদম গাছ। বর্ষা আছে,বৃষ্টি আছে আর কদম ফুল ফোটেনি এমন দৃশ্য তো বংলার নয়। বর্ষার সাথে কদম ফুলের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। যদিও অন্য সময়েও কদম ফুল ফোটে। বছরের অন্য কোনো সময় কদম গাছের কদর না থাকলেও মূলত বর্ষার সময় কদম গাছে ফুটে থাকা দৃষ্টিনন্দন ফুল এবং তার মন মাতানো সৌরভ প্রকৃতিপ্রেমীকে আকৃষ্ট করবেই। জানা যায়, কদম বা বুল কদম ইংরেজি নাম নঁৎভষড়বিৎ ঃৎবব, ওধৎধহ,খবরপযযধৎফঃ ঢ়রহব,শধফধস জঁনরধপবধব পরিবারের ঘবড়ষধসধৎপশরধ গণের বৃক্ষ। যা নীপ নামেও পরিচিত। কদম আমাদের সমাজের অতি পরিচিত ফুল। তবে কাঠের তেমন ব্যবহার প্রচলিত না থাকায় কেউ সচরাচর শখ করে এ গাছ লাগায় না। জানা যায়, কদমের কান্ড সরল,উন্নত,ধূসর থেকে প্রায় কালো এবং বহু ফাটলে রুক্ষ,কর্কশ। ফুলের পাঁপড়ি ঝরে গেলে এর ফল কাঠবিড়ালী,বাদুড়ের প্রিয় খাদ্য হয়। ঔষধি হিসেবেও কদম গাছের যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে।
এখনও প্রকৃতিতে বর্ষা আসেনি। আরও মাসখানেক বাকি আছে। তবে সময়ের অপেক্ষা না করেই পাবনার বেড়া উপজেলার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে কদম ফুল। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই নাকে এসে লাগে ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়ের দল কদম ফুল ছিড়ে বাড়ি নিয়ে যায়। যদিও এখন গ্রাম থেকেও হারিয়ে যেতে বসেেেছ কদম গাছ। নিতান্তই অবহেলায় যেসব গাছ বড় হয়ে ওঠে সেগুলোই প্রকৃতিকে সাজিয়ে রাখে।