কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, দামপাড়া ইউনিয়ন, সিংপুর ও ছাতিরচর ইউনিয়নে বিভিন্ন অসাধু স্টীল বডির বালি খেকোরা বিভিন্ন জায়গা থেকে স্টীল বডি দিয়ে বালি এনে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব বালি খেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, নিকলীতে বর্ষা মৌসুমে এসব বালি ব্যবসায়ীরা নামে বেনামে অবৈধভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলদের ছত্র ছায়ায় থেকে অদৃশ্য সমিতির নাম করে কাগজ বিহীন ভাবে ব্যবসা করে আসছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বালি ব্যবসায়ীর সাথে গত শুক্রবার আলাপ করলে তারা জানান, প্রত্যেক স্টীল বডি মালিকের নিকট থেকে ৬ হাজার অথবা ৭ হাজার ফুট স্টীল বডি নৌকা বাৎসরিক ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকায় ভাড়া নিয়ে তারা করিমগঞ্জের এলাঙ্গা ও মিঠামইনের বিভিন্ন নদী থেকে ৮০ পয়সা ফুট বালি কাগজ বিহীন ভাবে বালি এনে নিকলী এলাকায় ৪ টাকা অথবা ৫ টাকা ফুট ক্রয় করে আসছে। তারা এসব ব্যবসার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই ব্যবসাটি প্রতিবছরই এ সময় চালিয়ে থাকেন। এই বিষয়ে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শুনেছেন এসব ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু তিনি নিজে কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেন।