রাজশাহীর বাঘায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বাউসা ও আড়ানী এলাকায় এ ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শনিবার ভোর ৪টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই এলাকা প্রায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুতহীন হয়ে ছিল।
সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর ৪টার দিকে পূর্ব-পশ্চিম থেকে উপজেলার আড়ানী ও বাউসা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে আম, লিচু, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এই ঝড়ে বাউসা ইউনিয়নের বাউসা কাচারীপাড়া ও অমরপুর গ্রামে দুটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়া প্রায় ২০টি স্থানে তার ছিড়ে পড়ে আছে। পীরগাছা গ্রামের নাজিনা বেগম তার দুটি মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল। ভোররাতে তার বাড়ির পাশে পাংগীর গাছ ঘরের উপর পড়ে আটকা পড়ে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে। তার টিনের ঘর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। তার স্বামী মঞ্জুর রহমান এলাকার বাইরে কৃষি কাজ করেন। এতে প্রায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুতহীন অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার দিঘা হিন্দুপাড়া গ্রামের বিপ্লব জানান, আমার কাঁঠাল বাগানের দুটি বড় গাছ ভেঙ্গে গেছে। হটাৎ ঝড়ে আমেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিরতিহীন ভাবে বিদ্যুত না থাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ চরম হতাশা হয়ে পড়েছে।
বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সুমির কুমার দত্ত জানান, ঝড়ে দুটি বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়া প্রায় ২০টি স্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, ক্ষতির পরিমান এ মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা সরেজমিন করে প্রতিবেদন করা হবে। তবে কিছু ক্ষতি হয়েছে।
বাঘা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও অসংখ্যস্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। বিদ্যুতের লাইন সংস্কার কাজ চলছে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থরা আবেদন করলে তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে।