গত ২৩ এপ্রিল ২০২২ নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী ফোরাম চট্টগ্রামের উদ্যোগে হোটেল সেন্টমার্টিন আগ্রাবাদ, চট্টগ্রামে সাবেক সভাপতি মরহুম রুহুল আমিন সাহেবের স্মরণ সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত (ভার্চুয়ালী) থাকেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী, নাঙ্গলকোট নির্বাচনী আসনের সাংসদ আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এফসিএ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেক হোসেন ভূঁইয়া, আবুল খায়ের আবু, মেয়র আবদুল মালেক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়া, উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পৌরসভার কমিশনারবৃন্দ। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ৪৫ মিনিট উপস্থিত ( ভার্চুয়ালী) ছিলেন। ওই সময়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরিশেষে আগামী তিন বছরের জন্য "নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী ফোরাম চট্টগ্রাম" এর নতুন কমিটি ঘোষণা করেন নাঙ্গলকোট নির্বাচনী এলাকার এমপি অর্থমন্ত্রী। নির্বাহী ও উপদেষ্টাসহ ৯১ জনের এ কমিটিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম রুহুল আমিন সভাপতি, এমজি রহমান ভূঁইয়া গোলাপকে সাধারণ সম্পাদক এবং জনাব আলহাজ¦ জামশেদ আলম কে প্রধান উপদেষ্টা করা হয়। ওই কমিটিতে মাননীয় মন্ত্রী পক্ষে তাঁর একান্ত সহকারী সচিব জনাব কে এম সিংহ রতন, উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালু, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক জয়নাল আবদীন, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সাদেক হোসেন ভূঁইয়া, আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, আবুল খায়ের আবু, আবদুল মালেক " নাঙ্গলকোট আওয়ামী ফোরাম চট্টগ্রাম" গঠন ও অনুমোদন স্বাক্ষর প্রদান করেন। এমতাবস্থায় ৩/৪ জন আওয়ামী ফোরাম বিদ্বেষী ব্যক্তি আমাদের কিছু সম্মানিত উপদেষ্টা ও নির্বাহী সদস্য থেকে "নাঙ্গলকোট উপজেলা সমিতি, চট্টগ্রাম" পূর্ণগঠনের কথা বলে কিছু স্বাক্ষর নেয় এবং কিছু স্বাক্ষর সমিতির কাজে ব্যবহৃত স্বাক্ষর থেকে স্ক্যানিং করে বসিয়ে দিয়ে আওয়ামী ফোরাম ও এর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মানহানীকর কুরুচিপূর্ণহ বক্তব্য দিয়ে সোস্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তথাকথিত "গণপদত্যাগ পত্র" দেয়। ইতোমধ্যে আমরা নির্বাহী পরিষদ পরিষদের মিটিং এর নোটিশ খাতা নিয়ে গেলে "পদত্যাগ পত্রে" উল্লিখিত ৩৭ জনের অনেকেসহ কমিটির সকলেই সানন্দে কমিটিতে এবং আওয়ামী ফোরাম এর মিটিং-এ থাকার জন্য স্বাক্ষর প্রদান করেন। একজন সম্মানিত উপদেষ্টা প্রবীণ আইনজীবী রুহুল আমিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন ‘আমার থেকে সমিতি পুনর্গঠনের কথা বলে স্বাক্ষর নিয়ে যায়।’ এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।