রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার বহুল আলোচিত অন্যের বউ ভাগিয়ে একাধিক বিয়ে করা মোজাফফর হোসেনকে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোজাফফর হোসেন উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার রায়ঘাটি গ্রামের মৃত সুবির উদ্দিনের ছেলে।
এলাকায় তিনি অন্যের বউ ভাগিয়ে নেওয়া মোজাফফর নামে পরিচিত। একাধিক ব্যক্তির সংসার ভেঙ্গে বউ ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনটি স্ত্রী রয়েছে তার। তবুও বিয়ের স্বাদ মেটেনি মোজাফফর হোসেনের। দুই মাস থেকে কেশরহাট মহিলা কলেজ এলাকায় ভাড়াটিয়া এক ব্যক্তির স্ত্রীকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মোজাফফর হোসেন। রাস্তা-ঘােেট ও ফোনে যৌন হয়রানি করতে থাকে জনৈক ব্যক্তির স্ত্রীকে। গত ১৮ মে সকাল সাড়ে ৭ টার সময় ভাড়াটিয়া বাড়িতে ঢুকে এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গত সোমবার সন্ধার সময় বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে গলা চেপে ধরে হত্যার হুমকি দেয় মোজাফফর হোসেন। রাতে স্বামীর কাছে ঘটনাটি বলেন স্ত্রী। তিন বছরের সন্তানকে সাথে নিয়ে স্বামী -স্ত্রী রাতেই মোহনপুর থানায় আসেন অভিযোগ করতে। পিছু নেয় মোজাফফর হোসেন ও তার বাহিনী। রাত ৯ টার সময় থানা থেকে বের হলে মোজাফফর হোসেনসহ লোকজন স্বামী-স্ত্রীকে এলাকা ছাড়া হুমকি দিতে থাকে। কৌশলে তিনি থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিকে) বিষয়টি জানায়। দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে থানার মোড় থেকে মোজাফফর হোসেনসহ তিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গৃহবধূ বাদি হয়ে মোজাফফর হোসেনকে আসামি করে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মোজাফফর হোসেনকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলার আসামি দেখিয়ে অন্য দুইজন গভীর রাতে থানা থেকে ছেড়ে দেয়। মোজাফফর হোসেন নিজের ছেলে শ্বাশুড়িকে বিয়ে করে সংসার করছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মোজাফফর হোসেনের বিরুদ্ধে অন্যের বউ ভাগিয়ে বিয়ে করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।