নওগাঁর পত্নীতলায় সাবেক স্ত্রী ও তাঁর নিকট আত্মীয়কর্ত্তৃক মো. ফারুক ইসলাম (৪০) নামে এক প্রবাসীর বাসার মালামাল লুট ও বাসার দরজা জানালা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি ফারুক ইসলাম গত ২৩মে তারিখে সাবেক স্ত্রী আমিনা বেগম (৩২), শ্বাশুড়ি লাইলী আক্তার (৫২), শ্যালিকা মিনা খাতুন, শ্বশুর লুৎফর রহমান (৬০) ও মধইল গ্রামের সারোয়ার হোসেন (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে বিবাদী করে পত্নীতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় প্রদত্ত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ফারুক ইসলাম একজন প্রবাসী শ্রমিক। তাঁর পরিবার নজিপুর পৌরসভার হরিরামপুর মহল্লায় বসবাস করেন। গত ৮মাস পূর্বে তিনি তাঁর স্ত্রী আমিনা বেগমকে তালাক দেন। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরও তাঁর শ্যালিকা মিনা খাতুন জোর করে তাঁর বাড়িতে অবস্থান করেন এবং অন্য বিবাদীরা তাঁর বাসার পাশে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। গত ৫মে তিনি নগদ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে বিদেশ থেকে বাড়িতে আসেন। ২১ মে তিনি মা ফাতেমা বেগম (৬০) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মনি আক্তার (১৮) কে বাসায় রেখে পাশ্ববর্তী উপজেলা ধামইরহাটে যান। এ সময় বাড়ির অন্য একটি ফ্লাটে শ্যালিকা মিনা খাতুন অবস্থান করছিলো। রাত আনুমানিক ৮টার সময় বিবাদীরা বাসার মেইন গেটের তালা ভেঙ্গে অনধিকার প্রবেশ করে। তাঁরা তাঁর মাকে ঘরে আটকিয়ে রেখে শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে এবং ঘরের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণের মালামাল, নগদ ৬লাখ টাকা নিয়ে নেয়। এ সময় তাঁরা ঘরে থাকা টিভি, সিসি টিভি, ড্রেসিং টেবিল, সোফা, বক্স খাটসহ প্রায় ৩লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল বাড়ি থেকে বের করে নীচে নামায়। এ সময় বিবাদীরা ইট দিয়ে থাই গ্লাসের জানালা ও দরজা ভাংচুর করে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এরপর বিবাদীরা বাসার সকল মালামাল নিয়ে চলে যায়। ঘটনার সময় তাঁর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা ভেরম গ্রামের মমতাজ রহমান মিন্টুর ছেলে পরাগ হোসেন (২৫) ও আবদুস সামাদের ছেলে আবু সাঈদ (২২) বাঁধা প্রদান করলে বিবাদীরা তাদের মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। এ কারণে তাঁরা দুরে সরে আসে। অভিযোগপত্রে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ফারুক ইসলামের সাবেক স্ত্রী আমিনা বেগমের মতামত গ্রহণের জন্য বার বার তাঁর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পত্নীতলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাসসুল আলম শাহ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।