ফ্রান্সে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশী সোহেল রানা (৪৩)। গত ২১ মে শনিবার (স্থানীয় সময়) ভোরে সন্ত্রাসীদের হাতে আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্যারিসে বাংলাদেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোহেল রানার মৃত্যুর খবর শুনে তার নিজ বাড়ীর স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
সোহেল রানা মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের মো. আজিজুল হক সরকারে ছেলে। সে ৪ ভাইদের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো। তার তিন বছরের মো. আইইয়াস নামে এক শিশু সন্তান রয়েছে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে প্যারিসে বসবাস করতেন।
নিহতের বাবা আজিজুল হক সরকার জানান, আমার ছেলে সোহল রানা প্যারিসের রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে রাতের বেলা কাজ করতো। সে কর্মচারী হলেও মালিকসহ সবাই তাকে খুব আদর করত। প্রতিদিনের মতো গত শনিবার ভোর ৫টার দিকে রেস্টুরেন্টে কাজ শেষ করে সবাই বাসার উদ্দ্যেশ্যে বের হয়, আমার ছেলের বের হয় ১০ মিনিট পর। রেস্টুরেন্টের কাছের একটি গলিতে ৪ সন্ত্রাসী মিলে আমার ছেলেকে মারধর করে পালিয়ে যায়, তবে তার মাথার আঘাতটা ছিল খুব বেশী। পরে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪ দিন থাকার পর বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১ টার দিকে সোহেল রানা মারা যায়। নিহতের ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক বাদী হয়ে ফ্রান্সের একটি থানায় মামলা দায়ের করেছে বলে আমরা জানাতে পেরেছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক আমরা মর্মাহত হয়েছি।
সিরাজদিখান থানার ওসি (তদন্ত) মো. আজগর হোসেন জানান ‘মেসেজা পেয়ে আমরা নিহতের বাড়িতে খবর নিয়েছি। তার বাবা-মা ঢাকায় শান্তিনগরে বসবাস করেন তাই তাদের সাথে মোবাইল ফোনে খোঁজ খবর নিচ্ছি।