ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন পাইথল ইউনিয়নের এক বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী (২৪) ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় জহিরুল ইসলাম (২৮) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক জহিরুল ইসলাম পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে।
গত শনিবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১১ টায় পাগলা থানার ওসি মোঃ রাশেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর মা বাদী হয়ে বখাটে জহিরুল ইসলামকে আসামি করে পাগলা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন সকালে ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তরুনীর চাচাতো ভাই বলেন, ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে নিজ বাড়িতে একা পেয়ে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে বখাটে জহিরুল ইসলাম। তবে মেয়েটি কথা বলতে না পারায় তার পরিবারকে বিষয়টি জানাতে পারেনি। এভাবেই ঘটনাটি ধামাচাপা পরে যায়। সম্প্রতি ওই বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়। পরে কবিরাজী ওষুধ খাওয়ানোর পর তার জন্ডিস ভাল হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২০ মে ডাক্তার দেখাতে যান। ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেন। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর পর তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। তবে কে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানা ছিল না। সে কারোর নামও বলতে পারে না। এমতাবস্থায় এলাকার কিছু বখাটে ছেলের ছবি দেখালে, তরুনী জহিরুল ইসলামকে ধর্ষক হিসাবে চিহ্নিত করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বখাটে জহিরুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় মামলা করা হয়।
পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।