ফরিদপুরে গণশুমারী ও গৃহগণনা আংশ নেওয়া ব্যাক্তিবর্গের চারদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে নির্ভুল পরিসংখ্যানের কোন বিকল্প নেই। দেশের জনসংখ্যা কত, বার্ষিক খাদ্য উৎপাদন কত, কত লোক দ্রারিদ্র সীমার নিচে বাস করে তা নির্ধারণ করতে সঠিক নির্ভুল পরিসংখ্যান প্রয়োজন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ ‘জনশুমারী ও গৃহগণনা ২০২২ এর ফরিদপুর জেলা উপজেলা শুমারী সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার এবং আইটি সাপারভাইজারগণের চার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিনাক্ষী বিশ^াস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক পান্না বালা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জন ও গৃহ শুমারী একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কাজে যারা নিয়োজিত আছেন তাদের সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। গণনায় যাতে কোন ভুল না হয় সেদিন সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ফরিদপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে চারিদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। এতে শুমারী সংশ্লিষ্ট ১১৩জন ব্যাক্তি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৯জন উপজেলা শুমারী সমন্বয়কারী, ৫২ জন জোনাল কর্মকর্তা ও ৫২জন আইটি সুপারভাইজার।
জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিনাক্ষী বিশ^াস বলেন, দেশে প্রথম আদম শুমারী হয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ এরপর এবার ষষ্ঠবারের মত জনশামারী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ শুমারীর কাজ পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে শুমারীর তথ্য সংগ্রহ শেষ হলে দ্রুতই এ শুমারীর ফল ঘোষণা কার সম্ভব হবে।