গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল ও ব্যাপক ভাংচূরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, তার সহোদর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং দিলদার হোসেনসহ ৫০/৬০ জনকে আসামি করে প্রাবাসীর স্ত্রী মাহমুদা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কালীগঞ্জ থানার এএসআই পারভেজ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নাধীন গোল্লারটেক মোড়ে প্রবাসী শহিদুল্লাহর সাথে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, তার সহোদর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং দিলদার হোসেন এর জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। প্রবাসী শহিদুল্লাহ স্থাণীয় জোতদারের নিকট হতে ৭ কাঠা জমি সাফ কাবলা রেজিঃ দলিল মূলে ক্রয় করে ওই জমি নিজ নামে নামজারী ও জমা ভাগ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। অন্যদিকে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, তার সহোদর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং দিলদার হোসেন প্রবাসী শহিদুল্লাহর জমি বিক্রেতার অবশিষ্ট ওয়ারিশানদের নিকট থেকে ৪ কাঠা জমি ক্রয় করে পুরো জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ-সংক্রান্ত বিষয়ে গাজীপুর আদালতে মামলা চলমান থাকায় আদালত ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করেন। প্রবাসী শহিদুল্লাহর ৭কাঠা জমির উপর দোকানপাট ও ভাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে। সোমবার দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, তার সহোদর জাহাঙ্গীর হোসেন এবং দিলদার হোসেন এর নেতৃত্বে ও নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী এসে পুরো এলাকা ঘেড়াও করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এসব বিষয় ভিডিও হতে পারে সন্দেহে উপস্থিত সবার নিকট থেকে প্রায় ২০/২৫টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এরপর সন্ত্রাসীরা ফিল্মি ষ্টাইলে ব্যাপক ভাংচূর শুরু করে। এ সময় প্রবাসী শহিদুল্লাহর স্ত্রী অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯ এ ফোন করেন। ফোন পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভাংচুরের ঘটনায় প্রবাসী শহিদুল্লাহর প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। ইতিপূর্বেও যুবলীগ সভাপতি অনেক বার ওই জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
প্রবাসী শহিদুল্লার স্ত্রী মাহমুদা বেগম জানান, জামালপুরের গোল্লারটেকে আমার স্বামীর নামে ক্রয় করা ও নামজারী করা ৭ কাঠা জমির উপর বাউন্ডারী ও দোকানপাট নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। গতকাল (৩০ মে সোমবার) দুপুরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তা ভাংচূর করে আমাদের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। ভাংচুরের সময় আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরে পুলিশ আমাকে থানায় যেতে বলেন। আমি থানায় গিয়ে দিলদার হোসেনকে হুকুমের আসামি ও যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন এবং তার সহোদর জাহাঙ্গীর হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, আমার জমিতে আমি আছি। আমি কোন ভাংচূর করি নাই।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার এএসআই পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি দোকান ঘড় ভাংচূর এর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাংচুর বন্ধ করে শান্তি বজায় রাখতে বলেছি।