কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে গাছের সাথে বেঁধে বেধরক পিটিয়ে পুরুষাঙ্গে লাথি মেরে গুরত্বর আহত করেছে। পরে আহতকে উদ্ধার করে এলাকাবাসীরা রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে দিয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বানেশ্বর নীলকন্ঠ গ্রামের মৃত ফজল উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম(২৮) সোমবার(২৩মে) রাত ১০টার দিকে ওই ইউনিয়নের রামকার্জ্জী গ্রামের শ্বশুর বাড়ির পাশে পৌচ্ছিলে শ্বশুরের প্রতিবেশী বেলাল হোসেনের ছেলে বাবলু মিয়া(৪০) ও সাবলু ইসলাম(৩৫)সহ ৬/৭জন পূর্ব জের ধরে অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে টেনে হেঁচড়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে হাত-পা খাটের সাথে বেঁধে রাতভর বেধরক মারপিট করে। পরদিন সকালে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির বাইরে আমগাছের সাথে শহিদুল ইসলামকে পুনরায় বেঁধে মারপিটের একপর্যায়ে পুরুষাঙ্গে লাথি মেরে গুরতর আহত করে। এ সময় এলাকাবাসীরা ছুটে আসলে তাদেরকেও অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতাউর রহমানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিকর্গ ঘটনাস্থলে এসে গুরত্বর আহত শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে দেয়। অপরদিকে অভিযুক্ত বাবলুর স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন বলেন, শহিদুল ওইদিন রাত ১১টার দিকে ঘরে ঢুকে শুধু মাত্র ১৮হাজার টাকা চুরি করেছিল। এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পরও তার অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছে। এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হলেও এজাহার গ্রহন করেনি অভিযোগকারী আমিনুর ইসলাম জানান। এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ওসি (তদন্ত) পবিত্র কুমার নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি সরাসরি ওসি স্যার দেখছেন।