কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জমি সংক্রান্ত জেরে হামলার ঘটনায় ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ২ জনকে প্রথমে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থার অবনতি দেখে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে তারা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন হামলার শিকার ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের পশ্চিম রামখানা সাহাটারী এলাকায়। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে একই এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে শফি মিয়া (৪৩), আবদুল জলিল (৫০), শফি মিয়ার ছেলে মমিনুল হক (২৩), মোকছেদুল হক (২০), শফির স্ত্রী মমিনা বেগম (৩৮), মৃত আজিজারের স্ত্রী জমিলা বেগমদের (৬৮) সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিবাদ চলে আসছিলো। বিবাদেরে জেরে শফির লোকজন শহিদুলের পরিবারের নানাভাবে ক্ষয়ক্ষতি করে আসছিলো এবং তাদেরকে প্রাণ নাশসহ বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে আসছিলো। এক পর্যায় গত ৩০ মে, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। এ সময় শহিদুলের মা ছলিমা বেগম (৫৫) বাধা দিতে গেলে শফির লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে। এতে ছলিমা বগেম গুরুতর আহত হন। এ সময় ওই এলাকার মৃত টগরু শেখের ছেলে, শহিদুলের চাচা মোজাম্মেল হক (৬৫) ছলিমাকে উদ্ধার করতে গেলে তার উপরও অতর্কিত হামলা করে এলোপাথারী মার-ডাং করে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত করে। এছাড়াও শহিদুলের বাড়িতে ভাংচুর করে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এছাড়াও শহিদুল ও তার স্ত্রী বাধা দিতে গলে তাদের উপরও হামলা করে এবং শহিদুলের অন্তসত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে আহত করেছে বলেও এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শহিদুল তার মা ও চাচাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নাগেশ্বরী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন হামলার শিকার শহিদুল ইসসলাম।
এ ব্যাপারে বিবাদীপক্ষের ১ নং-অভিযুক্ত শফি মিয়া বলেন, জমিজমা নিয়ে শহিদুলদের সাথে আমাদের দ্বন্দ রয়েছে। আমি জমি পাই দেয় না। বলেছিলাম যে এলাকায় মিমাংসা করি। কিন্তু ওরা মিমাংসা করতে চেয়ে করে না। এজন্য মারামারি হয়েছে।
থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এস.আই) মো. ফারুক মিয়া বলেন, গতকাল (বুধবার) শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিয়েছেন। পরে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) মামলা রেকর্ড করা হবে।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীউল হাসান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।