আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ ও দলের নাম ভাঙিয়ে নানা অনিয়ম করায় ফরিদুপর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আবদুস সোবহানের নামে দলীয় প্রধানের কাছে নালিশ জানিয়েছেন দুই উপজেলার নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর এ অভিযোগ করেছেন নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা। গত ২৯ মে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অভিযোগপত্রটি জমা দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসন নগরকান্দা-সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ‘ নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের শশা গ্রামের মৃত মোসলেম কাজীর ছেলে কাজী আবদুস সোবহান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অপকর্মের কারণে চাকরিচ্যুত একজন সৈনিক। সেনাবাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিনি বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে শত কোটি টাকার বিদেশি পণ্য বিনা শুল্কে খালাস করেছেন। পরবর্তীকালে স্বাক্ষর জালিয়াতি ধরা পড়ে সোবহানের সাজা হয়।
জাল ডলার ব্যবসা, চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, এমএলএম ব্যবসা নামে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে আবদুস সোবহানের নামে। তার এসব অপরাধ কর্মকা-ের ব্যপারে জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগ আছে, সোবহান সম্প্রতি অর্থের বিনিময়ে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক পদটি পেয়েছেন। এই আবদুস সোবহানের সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা সহযোগী অঙ্গসংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, এমনকি সাধারণ সদস্য তালিকায়ও তার নাম নেই। পদটি পাওয়ার পর নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মৎস্যজীবী কমিটির নামে নিজস্ব বলয় সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ফলশ্রুতিতে এলাকায় অসন্তোষ দানা বেধে উঠছে।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক পদ পেয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি করার নামে সুসংগঠিত দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ফলে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। উপর্যুক্ত আলোচিত ব্যক্তির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এদিকে সব ভিত্তিহীন দাবি করে ফরিদুপর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আবদুস সোবহান বলেন, এটা একটি অপরাজনীতি। তাছাড়া ভয়ভীতি দেখিয়ে ও বন্দুক ঠেকিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে ঢাকার এক নেতা উদ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব করাচ্ছে। এসবের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আমি এই অপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি কয়েকদিন পরে সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানাবো।