উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরে দফায় দফায় পেঁয়াজের বাজারে ধস নামছে। এতে কৃষকের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার মানিকহাট গ্রামের পেঁয়াজ চাষী মন্টু খান বলেন গত ৩মাস আগে হাট-বজারে মৌসুমী পেঁয়াজ উঠার শুরুতে প্রতিমণ পেঁয়াজ মাত্র ৮‘শ থেকে ১হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। এর এক মাস পর প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম ২‘শ টাকা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সে বাজারও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। মাত্র ১০/১৫দিনের ব্যবধানে আবার বাজার কমে গিয়ে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১হাজার থেকে ১১‘শ টাকা দরে। একই গ্রামের পেঁয়াজ চাষী ওমর আলী প্রামাণিক বলেন গত রমজান মাসে স্থানীয় হাট-বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এ সময় প্রতিমণ পেঁয়াজ ১৩ থেকে ১৪‘শ টাকা দরে বিক্রি হয়। এতে পেঁয়াজ চাষীদের মাছে কিছুটা স্বস্তি দেখা দেয়। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের বাজারে আবার ধস নামে। বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ মাত্র ১১থেকে ১২‘শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এ বছর সার, বীজ এবং শ্রমিকসহ প্রতিমণ পেঁয়াজের উৎপাদন খরচই হয়েছে প্রায় ১২‘শ থেকে ১৩‘শ টাকা। উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আদর্শ পেঁয়াজ চাষী কামরুজ্জামান বলেন বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষকের উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রতিমণে ২থেকে ৩‘শ টাকা লোকসান হচ্ছে। সুজানগর পৌর পেঁয়াজ বাজারের আড়তদার আবুল কালাম বলেন দেশের বাজারে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় পেঁয়াজ মজুদ আছে। সেই সঙ্গে হাট-বাজারে দেশি পেঁয়াজের আমদানিও প্রচুর। ফলে পেঁয়াজের বাজার বাড়ছেনা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন হাট-বাজারে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের বেশ সরবরাহ রয়েছে। সেকারণে বর্তমানে বাজার মন্দা।